চাঁদপুর: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি মনে করে আগামী এক মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে, তাহলে আমরা এক মাসের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। যারা পিআর পদ্ধতির কথা বলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তারা কখনও সফল হবেন না।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা বিএনপির সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালে পিআর পদ্ধতি সিসটেমের জন্য গত ১৭ মাসে ১০ বার সরকার গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশে এটা হতে দেওয়া যাবে না। যাদের সঙ্গে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই, তারা হয়তো এ ধরনের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের এ উদ্দেশ্য কখনো সফল হবে না। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। হয়তো এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্বাচনী আসনগুলোতে কারা কারা নির্বাচন করবেন সে নির্দেশনা দেবেন। সেই লক্ষ্যেও দলে কাজ করা হচ্ছে।
এ নেতা বলেন, যারা জান্নাতের টিকিট দেওয়ার কথা বলে রাজনীতি করে, এটা অন্যায়। আমরা সবাই জানি জান্নাতের টিকিট দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ ছাড়া কেউ বেহেশতের টিকিট দিতে পারে না। তারা বাড়ি বাড়ি নারী দিয়েও এ অপপ্রচার করছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল অনেক শক্তিশালী। আমাদের দেশের মহিলারা জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়াকে অনেক ভালোবাসেন। তাদের কথায় কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।
অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি, ঘরে ঘরে যাচ্ছি। এ ৩১ দফার মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা রয়েছে, বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলা রয়েছে আগামীদিনে রাষ্ট্রকে আমরা কীভাবে ঢেলে সাজাবো সেটা আমাদের নেতা তারেক রহমান বোঝেন। আগামীদিনে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমরা আওয়ামী লীগের মতো বলবো না, সিঙ্গাপুর বানাবো। আমাদের নেতা তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি (কুমিল্লা বিভাগ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরী, অ্যাড.শামসুল ইসলাম মন্টুর যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ড. জালাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন, জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি শরীফ মো. ইউনুস, দেওয়ান মো. সফিকুজ্জামান, খলিলুর রহমান গাজী, হুমায়ুন কবির প্রধান, মোল্লা মাহমুদ হাসান, আলমগীর কবির পাটওয়ারী, ডি এম শাহাজাহান, যুগ্ম সম্পাদক সেলিমুছ সালাম ও আক্তার হোসেন মাঝি।
জেএইচ