যশোর: টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত কনসালটেশন কর্মশালায় যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যতগুলো টিকাদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে তার প্রতিটিতেই বাংলাদেশ শীর্ষে থেকেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
গুজবের কারণে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি ব্যহত হওয়ার কোনো শংকা আছে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ অধিদপ্তর এবং জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় সাংবাদিকেরা বলেন, এই টিকা কার্যক্রম ব্যহত করার জন্য নানাভাবে গুজব রটানো হচ্ছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে যে কোন কোন অভিভাবক সন্তানদের টিকা না দেওয়ার কথা বলেছেন।
জবাবে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম আরো বলেন, টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার কোন সুযোগই নেই। গুজব রটনাকারীরা গুজব রটাবেই। এটাকে প্রতিহত করার সামর্থ্য সরকারের রয়েছে।
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, যারা গুজব রটায় তারা ৫ আগস্টের আগে-পরে ব্যাপকভাবে অপতৎপরতা চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে। তারা সকল ভালো কাজকে ভন্ডুল করতে চায়। একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে দেশ যাতে সামনে এগুতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে চায়।
কিন্তু, কোনকিছুতো আর থেমে নেই। কারণ, মানুষ বুঝে গেছেন এদের কাছে মানুষের জীবন, মান, সম্পত্তির কোন মূল্য নেই। এরা কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছে।
স্বাস্থ্য সহকারীদের চলমান কর্মবিরতির কারণে টিকাদান কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা জানতে চাইলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক রাসেল বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সাথে (স্বাস্থ্য সহকারী) যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
যদি তাই না হয় তাহলে বিকল্প ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রয়োজনে দেশের বেসরকারিখাতে যেসব সংস্থা স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে তাদেরকে এই কর্মসূচির সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবুও এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে। কারণ, মানুষের সুস্থ থাকার স্বার্থই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
যশোরের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল হাসান এবং প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
টিকাদান ক্যাম্পেইনের ওপর ব্রিফিং করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেলা সার্ভিলেন্স অ্যান্ড ইমুনাইজেশন মেডিকিল অফিসার ডাক্তার সামিনা পারভীন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, জীবাণুবাহিত রোগ টাইফয়েড প্রতিরোধে সকল নাগরিকের উচিৎ তাদের সন্তানদের টিকাদান করানো। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। প্রতিটি বিদ্যালয় এবং কওমি মাদ্রাসায় এই টিকা প্রদান করা হবে। এখানে নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদেরকে টিকা প্রদান করা হবে।
এছাড়া, কমিউনিটিতে ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি।
এসএইচ