হবিগঞ্জ: ৭ ডিসেম্বর লাখাই উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। আজকের এই দিনটির বিকেল বেলা লাখাইয়ের জিরুন্ডা মাঠে রাজাকার ও পাক বাহিনী মিলিয়ে ১২৯ জনের একটি দল আত্মসমর্পণ করেছিল।
এর আগে ডিসেম্বরের শুরুতে স্থানীয় বুল্লা বাজারে হামলা চালিয়ে রাজাকারদের হটিয়ে ক্যাম্প দখল করে মুক্তিবাহিনী। এ সময় মাদনাসহ লাখাইয়ের পূর্বাঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়। তবে তখনও পাকিস্তানীদের দখলে ছিল লাখাই থানা সদর।
পরে ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা লাখাই থানা সদরে হামলার মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের দলটি মুক্তিযুদ্ধকালীন পশ্চিমাঞ্চলের কমান্ডার সৈয়দ শফিকুল ইসলামের কাছে ১২৯টি অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। তখন থেকেই ৭ ডিসেম্বর লাখাই মুক্ত দিবস পালন করা হচ্ছে।
এদিকে, প্রতি বছরই দায়সারাভাবে দিবসটি পালন করা হলেও নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব চন্দ্র রায় জানান, এ বছর লাখাই মুক্ত দিবস উপলক্ষে তেমন কোনো কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। তবে কোনো কোনো বছর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে সীমিত পরিসরে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, লাখাই মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলাদা কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না, শুধু শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এবারও আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২২
এফআর