ঢাকা: পুঁজিবাজারের সদস্য ভুক্ত তিনটি ব্রোকারেজ হাউসের সার্বিক কার্যক্রম তদন্তে কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসি সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে অসঙ্গতি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়ে।
ব্রোকারেজ হাউসগুলোর নাম হলো- পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং- ৭৯), প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং- ২৩৬) এবং শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং- ৩)।
জানা গেছে, তদন্ত কমিটি ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেতিবাচক ইক্যুইটি কেন বাড়ছে ও এর জন্য কারা দায়ী, নেতিবাচক ইক্যুইটির পরিমাণ, প্রভিশনস বা মার্জিন অ্যাকাউন্টের বিপরীতে রক্ষিত তহবিল, প্রভিশনসের ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টে অননুমোদিত লেনদেনসহ আরো বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন থেকে জারি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিএসইসির জারি করা আদেশ তিনটি ব্রোকারেজ হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিএসইসির আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মনে যে, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করা প্রয়োজন। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুল ১৭ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১৫ ও ১৬ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন তিন জন কর্মকর্তাকে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কার্যক্রম তদন্ত করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. মতিউর রহমান এবং সহকারী পরিচালক মো. সাগর ইসলাম। পরিদর্শক কর্মকর্তারা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন এবং পরিদর্শন প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবেন- বলে আদেশে আরো উল্লেখ করা হয়।
গঠিত তদন্ত কমিটি যেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে-
তিনটি ব্রোকারেজ হাউসের মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, প্রকৃত নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ, প্রভিশনস, প্রভিশনসের ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টে অনুমতিবিহীন লেনদেন সনাক্ত করা এবং এর কারণ চিহ্নিত করা, ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ কেন বাড়ছে তা চিহ্নিত করা, এর জন্য কারা দায়ী তা চিহ্নিত করা।
ব্রোকারেজ হাউসগুলো কেন আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশনস বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে- সেটার কারণ চিহ্নিত করা। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউসগুলোর এ সংক্রান্ত কী কী সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করতে তা চিহ্নিত করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
এসএমএকে/এমএম