ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার মূল্যসূচক সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কমেছে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ২৭৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
অপর শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৩৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে খাত ভিত্তিক মোট লেনদেনে জ্বালানি খাতের অবদান প্রায় ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, টেক্সটাইল খাতের ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাত ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, আর্থিক প্রাতিষ্ঠান খাত প্রায় ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ, ব্যাংক ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাত ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, প্রকৌশল ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং ইন্স্যুরেন্স খাতের অবদান ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
দিনের শুরু থেকেই ডিএসইর সাধারণ সূচক ওঠানামা করতে থাকে। তবে বেলা পৌনে ১১টার দিকে সূচক একটানা বৃদ্ধি পেতে থাকে। দুপুর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে সূচক দিনের সর্বোচ্চ ৪৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়।
লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ৩৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থান করে ৪ হাজার ৫৫৮ পয়েন্টে।
ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এক হাজার ৬৩৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৯৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯৫টির, কমেছে ৬৫টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৩১টির দাম।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে টাকার ভিত্তিতে লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো-এমারেল্ড অয়েল, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, স্কয়ার ফার্মা, পদ্মা অয়েল, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ন্যাশনাল টিউবস, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, গ্রামীণ ফোন, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে সিএসইএক্স সূচক ৭৪ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থান করে ৮ হাজার ৮৫৯ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ৭৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থান করে ১১ হাজার ৮৩১ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ১২১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থান করে ১৪ হাজার ৯০ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৪