ঢাকা: পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কিভাবে বিচার কার্যুক্রম শুরু করবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ট্রাইব্যুনালের জন্য স্থান পেলেই নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারকের সঙ্গে আলোচনা করে বিচার পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হবে।
এদিকে, ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে জায়গা দেওয়ার আবেদন করলে নিজ উদ্যোগে জায়গার সংস্থান করতে বলা হয়। মতিঝিলের জীবন বীমা টাওয়ারে জায়গা না থাকায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অফিসের বাইরে ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের কথা ভাবছে। এরই মধ্যে চিনি শিল্প ভবনসহ কয়েকটি ভবনে জায়গাও দেখেছে বিএসইসি।
বিএসইসি’র মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কিভাবে বিচার কাজ শুরু করবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ট্রাইব্যুনালের জন্য স্থান সংকুলান করতে পারলে বিচারকের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালে যেসব লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার তা এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এগুলো নিশ্চিত করেই ট্রাইব্যুনাল বিচার কাজ শুরু করবেন। তবে কবে নাগাদ ট্রাইব্যুনাল তার কার্যক্রম শুরু করবেন তা তিনি উল্লেখ করেননি।
অন্যদিকে সম্প্রতি বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে ট্রাইব্যুনালের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, যানবাহন ও অফিস সরঞ্জামাদিসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য খাতের জন্য এ অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৬ মার্চ আমি বসৃজিত স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিচারক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করি। এর আগে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের সহায়ক বিচারক, কর্মচারীর ছয়টি পদ সৃজন, যানবাহন (একটি সিডান কার) ও তিনটি অফিস সরঞ্জামাদি টিওঅ্যান্ডইতে অন্তর্ভুক্তকরণে সরকারের মঞ্জুরি জ্ঞাপন করা হয়েছে। আর এ সংক্রান্ত ব্যয় দেওয়ানি ও দায়রা জজ আদালত হতে বিকলনীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ট্রাইব্যুনালের অফিস ও এজলাস কক্ষ স্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এ মুহূর্তে স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট খাতসমূহে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন’।
তবে বিএসইসি’র এক কর্মকর্তা জানান, খুব শিগগির ট্রাইব্যুনালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হবে। ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হতে পারে।
বিএসইসি’র ২০১২-১৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন আদালতে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ৪২৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৯৩টি মামলা রয়েছে উচ্চ আদালতে।
বর্তমান মামলাগুলোর মধ্যে ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার ধসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিএসইসি ১৫ এবং ২০১০-১১ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৪