ঢাকা: সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমছে এমন খবরের ভিত্তিতে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকে বড় ধরনের উস্ফলন ঘটেছে।
রোববার(১০ মে’২০১৫) দিনের লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ’র (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৫৪ পয়েন্ট।
২০১২ সালের ২৯ নভেম্বরের পর এই প্রথম ডিএসই’র প্রধান সূচক দেড়’শ পয়েন্টের উপরে বাড়লো। ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর ডিএসই’র প্রধান সূচক বাড়ে ২১৯ পয়েন্ট।
এদিন ডিএসই ও সিএসই’র বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমছে এমন খরবই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে ছিলো।
এ খবরের ভিত্তিতেই অনেক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয় বাড়িয়ে দেয়। আবার বেশকিছু দিন নিরব থাকা অনেক বিনিয়োগকারীও এদিন নতুন করে শেয়ার ক্রয় করেন বলে জানান একাধিক ব্রোকারেজ হাউজের কার্মকর্তারা।
তারা জানান, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে উস্ফালন ঘটার প্রধান কারণ ছিলো সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কম থাকা। এরপর সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়ানো হলে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনকি শেয়ারবাজারে দীর্ঘ মন্দার জন্য সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদের হারকে দায়ী করে আসছিলেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এখন সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমলে শেয়ারবাজারে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
রোববার ডিএসইতে সূচকের উর্ধ্বমুখীতার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়। সূচকের এ উর্ধ্বমুখীতা দিনের শেষ পর্যন্ত সমান্তরালভাবে অব্যহত থাকে। লেনদেন শুরুর প্রথম ১০ মিনিটেই ডিএসইএক্স সূচক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
এরপর বেলা ১১টায় ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬৪ পয়েন্ট বাড়ে। ১১টা ২০ মিনিটে বাড়ে ১৩১ পয়েন্ট। সাড়ে ১১টায় বাড়ে ১২৫ পয়েন্ট, ১১টা ৫০ মিনিটে বাড়ে ১২০ পয়েন্ট।
দুপুর ১২টায় ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ১২১ পয়েন্ট, সাড়ে ১২টায় বাড়ে ১১৬ পয়েন্ট, ১টায় বাড়ে ১৩২ পয়েন্ট, ২টায় বাড়ে ১৫২ পয়েন্ট। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ২৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে, ডিএসই-৩০ সূচক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৬১৭ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫২০ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। যা আগের দিনের তুলনায় ১০১ কোটি ৫ লাখ টাকা বেশি। দিন শেষে ২৮৯ টি প্রতিষ্ঠানের দাম ও সাধারণ সূচক বেড়েছে। কমেছে ১৭টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে- ইউনাইটেড পাওয়ার, এসিআই ফর্মুলেশন, এমজেএল বিডি, সাইফ পাওয়ার, ইফাদ অটোস, এসিআই লি., শাহাজীবাজার পাওয়ার, আরএকে সিরামিকস, ওয়েস্টার্ন মেরিন ও কেপিসিএল।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতেও সিএসইএক্স সূচক ২৯৩ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩৬টি, কমেছে ৭টি ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টির।
বাংলাদেশ সময়:১৩০২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৫/আপডেটেড:১৯২৮
এএসএস/এনএস