ঢাকা: নতুন অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ক্রমাগতভাবে কমছে লেনদেনের শীর্ষে থাকা চারটি খাতের অবদান।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুলশান ও শোলাকিয়া জঙ্গি হামলার পরপর রমজান ও কোরবানি ঈদে পুঁজিবাজার বন্ধ থাকায় লেনদেন কম হয়েছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, সেপ্টেম্বর মাসে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন এবং ব্যাংক খাতের অবদান ছিলো ৫৫.০২ শতাংশ। আগস্ট মাসে অবদান ছিলো ৫৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তার আগের জুলাইয়ে অবদান ছিলো ৫৯ দশমিক ০২ শতাংশ।
সেই হিসেবে জুলাইয়ের তুলনায় আগস্ট মাসে লেনদেন কমেছে ২ দশমিক ০৯ শতাংশ, আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ লেনদেন কমেছে। এদিকে, ডিএসইতে মোট লেনদেন জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে বাড়লেও সেপ্টেম্বরে কমেছে।
জানা যায়, বর্তমানে পুঁজিবাজারে প্রায় সাড়ে ৩শ’ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২০টি খাতে তালিকাভুক্ত রয়েছে। এরমধ্যে সেপ্টেম্বরে লেনদেনের শীর্ষে থাকা প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং ব্যাংক খাতে ৪ হাজার ৭৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৯৭ হাজার ৯১ টাকার লেনদেন হয়েছে।
আগস্টে প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছিলো ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২২৪ টাকার। জুলাইয়ে ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং ব্যাংক খাত লেনদেন হয়েছিলো ৩ হাজার ৮৭৯ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ৯১৩ টাকার।
ডিএসই’র পাশাপাশি দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) খাতগুলোর লেনদেনের পরিমাণে একই অবস্থা দেখা গেছে।
জানা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে লেনদেনের শীর্ষে থাকা প্রকৌশল খাতের লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮৬ কোটি ৩৮ লাখ ২৭ হাজার ৪৯৮ টাকা। আগস্টে লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৭৮০ কোটি ৯০ লাখ ০৯ হাজার ১৬৮ টাকার।
দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ২৬২ কোটি ৪৯ হাজার ৩৫ হাজার ৬৩৩ টাকার। গত মাসে লেনদেন হয়েছিলো ১হাজার ৪০০ কোটি ৩২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৫৩ টাকার।
তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ১১১ কোটি ৫১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৫ টাকা। এর আগের মাসে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৩ কোটি ৩১ লাখ ২৯ হাজার ৭০৬ টাকার।
এছাড়া আগস্ট মাসে চতুর্থ স্থানে থাকা বস্ত্র খাতকে পিছনে ফেলে সেপ্টেম্বর মাসে চতুর্থ স্থান দখল করেছে ব্যাংক খাত। আর চতুর্থ স্থানে থাকা বস্ত্র খাত এক ধাপ নিচে নেমে এখন অবস্থান করছে পঞ্চম স্থানে।
অন্যদিকে, লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা খাতগুলো হলো, বন্ড, পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং, পাট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ট্যানারি, সিরামিক, আইটি, ট্রাভেলস, টেলিকম ও বিমা খাতের শেয়ার। বাজারে এসব খাতের অবদান শতকরা দুই অংকের কোটার নিচে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
এমএফআই/টিআই