ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজারে প্রয়োজন হাজার কোম্পানির তালিকাভুক্তি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
পুঁজিবাজারে প্রয়োজন হাজার কোম্পানির তালিকাভুক্তি

ঢাকা: দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি),অর্থনীতি এবং বাজেটের আকার বৃদ্ধি অনুসারে পুঁজিবাজার বড় হচ্ছে না। তাই পুঁজিবাজারে ভারসাম্য রক্ষায় নতুন করে ভালো ক্যাটাগরির আরও ১ হাজার কোম্পানির তালিকাভুক্তি প্রয়োজন বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ও সিএসই) সূত্র মতে, দু’বাজারে এখন তিন শতাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এসব কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, করপোরেট ও ট্রেজারি বন্ড নিয়ে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়ছে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৫৭ কোটি ৬১ লাখ ৮ হাজার টাকা।

অপর বাজারের মূলধন ৩ লাখ ৪ হাজার ৬১১ কোটি ৮৮ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯৬ টাকা। আর দু’বাজারে ৩৪২টি সরকারি, বেসরকারি এবং বিদেশি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। যা দেশের জিডিপির শতকরা ২০ শতাংশ।

অথচ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে পুঁজিবাজারের অবদান জিডিপির ৭০-১২০ শতাংশ। এমনকি হংকং স্টক এক্সচেঞ্জের অবদান সেই দেশের জিডিপির ৪০০ শতাংশ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার। জিডিপির প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করা হচ্ছে ৭ শতাংশের বেশি।

দেশের অর্থনীতির এই অগ্রযাত্রায় অন্তত পক্ষে ১ হাজার নতুন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া প্রয়োজেন বলে মনে করেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুর রহমান মজুমদার।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দেশে কয়েক লাখ লিমিটেড কোম্পানি নিবন্ধিত রয়েছে। এর মধ্যে কয়েক হাজার বড় কোম্পানি রয়েছে, যেগুলোর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির সুযোগ রয়েছে।

অথচ আমাদের বাজারে এখন মাত্র কয়েক’শ কোম্পানি তালিকাভুক্ত আছে। যা দেশের অর্থনীতির তুলনায় একান্তই নগণ্য।

এমডি বলেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন পুঁজি সঞ্চালনের। আর বিনা সুদে সেই পুঁজি সংগ্রহ করতে পারে পুঁজিবাজার থেকে। এতে কোম্পানি ও শেয়ারহোল্ডার উভয় ভাল মুনাফাও। তাই সরকারকে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী স্থিতিশীলতা ও আস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা এবং কৌশল গ্রহণের আহবান জানান সাইফুর রহমান মজুমদার।

তার এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন ডিএসইর এমডি কে এ এম মাজেদুর রহমানও। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ৭ শতাংশ জিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান মাত্র ২০ শতাংশ। আগামী তিন বছর পর এই অবদান বেড়ে হবে ৫০ শতাংশ। এই লক্ষ্যে ডিএসই কাজ করছে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে দেশের জিডিপি ৮-৯ শতাংশে বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারের এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ডিএসইর পক্ষ থেকে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

মাজেদুর রহমান বলেন, আমরা এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পুঁজিবাজারে বেশকিছু ভালো কোম্পানি নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। যেমন, বিদেশি কিছু কোম্পানি আছে, বহুজাতিক কোম্পানি আছে, আমাদের লোকাল কর্পোরেট আছে। সেই কোম্পানিগুলো যখন আসবে, তখন জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান ৫০ শতাংশ হবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।