বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন সিডিবএলএ’র কর্মকর্তা শুভ্রকান্তি চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতোই এবারও ৩০ জুন বিও হিসাবগুলো নবায়নের শেষ সময় ছিলো।
তিনি বলেন, তবে যেসব বিও হিসাবে শেয়ার থাকবে সেগুলো সাসপেন্ড (স্থগিত) করা হয়েছে। তারা নবায়ন ফি দিয়ে বিওটি সচল করতে পারবেন।
সিডিবিএলের তথ্য মতে, ২০১৬-১৭ বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩০ জুন (শুক্রবার) বিও নবায়নের শেষ সময় ছিলো। এ দিন বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ছিলো ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৭৬০টি। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের হিসাব সংখ্যা ছিলো ৩১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৮৫টিতে। তার আগের বছর ২০১৫ সালে ছিলো ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫২টি।
বিও নবায়ন ফি জমা না দেওয়ায় আগের থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ২৩৯ কমে বুধবার (১২ জুলাই) ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৫২১টি বিও হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৮৬৮টি। আর নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব রয়েছে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫১টিতে।
তিন শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের বিও’র সংখ্যা ১১ লাখ ৬০ হাজার ১৪৯টি, জয়েন্ট বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ১০ লাখ ২৪ হাজার ৭০ এবং কোম্পানির বিও হিসাবের সংখ্যা ১১ হাজার ৩০১টি।
এ ছাড়াও আবাসিক বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮০টি, আর অনাবাসিক বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৮০টি। আর কোম্পানির ১১ হাজার ৩০১টি।
প্রতিবার ৩০ জুন পর্যন্ত বিও নবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এ বছর রমজানের ঈদের কারণে আন অফিসিয়ালি ১০ জুলাই পর্যন্ত বিও হিসাব নবায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বছরের চেয়ে বিও ফি ৫০ টাকা কমিয়ে ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিও ফি আগে ছিলো ৫০০ টাকা। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এই ফি কমিয়েছে কমিশন।
এরমধ্যে সিডিবিএল চার্জ ১০০ টাকা (যা আগে ছিলো ১৫০ টাকা), হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস ১০০ টাকা, বিএসইসি ৫০ টাকা এবং বিএসইসির মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ২০০ টাকা জমা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ