বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বিকেলে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) সঙ্গে এ বৈঠক করবে বিএসইসি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারকে এগিয়ে নিতে ইক্যুইটি নির্ভর পুঁজিবাজার গড়তে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট কোম্পানি গঠন ও পরিচালনার জন্য চূড়ান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে বিএসইসি। আর এটা বাস্তবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার ডিএসই, সিএসই এবং সিডিবিএলের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
এ বিষয়ে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, একটি বিশ্বমানের পুঁজিবাজার গঠন করার উদ্দেশ্যে বিএসইসি ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোম্পানি গঠন সংক্রান্ত আইন করেছে। কীভাবে এই কোম্পানির পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
আইন অনুযায়ী কোম্পানিটির ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করবে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার থাকবে ৬৫ শতাংশ। তবে একটি স্টক এক্সচেঞ্জ এককভাবে সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারবে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সিডিবিএল ১০ শতাংশ, কৌশলগত বিনিয়োগকারীরা নেবেন ১০ শতাংশ। তবে কৌশলগত বিনিয়োগকারী না পাওয়া পর্যন্ত এই শেয়ারগুলো সিডিবিএলের কাছে থাকবে।
কৌশলগত বিনিয়োগকারী পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেসভ্যালুতে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর শেয়ারগুলো হস্তান্তর করবে সিডিবিএল। আর সব ব্যাংক মিলে বাকি ১০ শতাংশ শেয়ারের মালিক হবে। তবে একটি ব্যাংক এককভাবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারবে।
অন্যদিকে এই কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকবে ১১ জন। এদের মধ্যে ৬ জন থাকবে স্বতন্ত্র পরিচালক। বাকি পরিচালকদের মধ্যে প্রতি স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে থাকবে একজন করে সদস্য। বাকি শেয়ারের মালিকদের মধ্য থেকে ২ জন পরিচালক মনোনীত করা হবে। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ