ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

গুজব-বিভ্রান্তিতে দরপতনের বৃত্তে পুঁজিবাজার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
গুজব-বিভ্রান্তিতে দরপতনের বৃত্তে পুঁজিবাজার

ঢাকা: দু’টি ইস্যুকে কেন্দ্র করে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পুঁজিবাজারে দরপতন সৃষ্টি করছে একটি অসাধু চক্র। ইস্যু দু’টির মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের আসন্ন মুদ্রানীতি। অপরটি হলো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যাংক ঋণ-আমানতের অনুপাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের বৈঠকে এ সমস্যাগুলো উঠে এসেছে।

বৈঠকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।


 
বৈঠকে বলা হয়, আসন্ন মুদ্রানীতি ও ব্যাংক ঋণ- আমানতের অনুপাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে একটি চক্র বাজারে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এর ওপর যোগ হয়েছে সরকারি ব্যাংকের জমা রাখা অর্থ ফিরিয়ে দিতে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) শেয়ার বিক্রি। এতে বিনিয়োগকারীরা প্রভাবিত হয়ে আরো বেশি বিক্রি করছে। ফলে বাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে।
 
বৈঠক শেষে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাক হোসেন সাদেক বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান আইসিবির কাছে আমানতের একটি অংশ জমা রাখে। আর আইসিবি সেই অর্থ দিয়ে শেয়ার কিনে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্কুলারে বলা হয়েছিল, সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজার কমাতে হবে। এই বিষয়ে দীর্ঘদিন কোনো আলোচনা নেই, কিন্তু হঠাৎ করেই আইসিবির কাছে থাকা ডিপোজিট ফেরত চাইতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক আইসিবির কাছে টাকা চাইলে, আইসিবি শেয়ার বিক্রি করছে। প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে দিতে হয়েছে। যার জন্যই বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার তুলে নিতে অর্থমন্ত্রণালয় ও গভর্নরের কাছেও যাবেন বলে জানান তিনি।
 
তিনি আরো বলেন, কম সুদে ঋণ দিয়ে ব্যাংকের কাছে এখন তারল্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংকের কাছে টাকা নেই। যার জন্য বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করছে ব্যাংক। সঞ্চয়পত্রেরও সুদের হার বেশি, ১২ শতাংশ। তবে মানুষ কেন পুঁজিবাজারে আসবে? অনেকে আবারো ব্যাংক আমানত রাখতে ছুটছে। এই ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমাতে হবে আর বেশি সুদে ব্যাংকের আমানত গ্রহণও বন্ধ করতে হবে।
 
মুদ্রানীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুদ্রানীতিতে যেন কোনো নেতিবাচক বিষয় না আসে সেই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ জানিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজার নিয়ে কারো সঙ্গে কিছুই আলোচনা করে না। আমরা কথা বলা বা আলোচনার চেষ্টা করেছি কিন্তু করতে পারিনি। ব্যাংকের এক্সপোজার মার্ক টু মার্ক হতে হবে। আমি যে টাকা দিয়ে শেয়ার কিনবো সেটাই এক্সপোজার ধরতে হবে। শেয়ার কেনার পর যদি দাম বেড়ে যায় এখানে কিছুই করার থাকে না। যার জন্য যে দামে শেয়ার কিনে সেটাই এক্সপোজার হওয়া উচিত।
  
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।