রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) বোর্ড রুমে ‘পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে’ বিএমবিএ, ডিএসই ব্রোকারর্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এবং ডিএসই শীর্ষ ৩০ ব্রোকারের নেতাদের এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান তিনি।
এসময় ডিবিএ‘র প্রেসিডেন্ট মোস্তাক আহমেদ সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাছিরউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ব্যাংকের ঋণ-আমানত ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাজারে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। যদিও এই হার কমানোতে পুঁজিবাজারে তেমন প্রভাব পড়ার কথা নয়। তবুও গুজবে অস্থিরতার সৃষ্টি করা হয়েছে। আপরদিক থেকে শেয়ার বিক্রির চাপবাড়ায় বাজারে পতন ঘটেছে। আর বাজারকে সাপোর্ট দিতে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সক্ষমতাও নেই। মার্ক টু মার্ক বিবেচনায় এক্সপোজার গণনা করায় সক্ষমতা কমেছে। আর সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজারেও আইসিবির সক্ষমতা কমেছে। যার জন্য বাজারে বড়পতন হলেও সাপোর্ট দিতে পারছে না।
প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বর্তমান নিম্নমুখী বাজারকে তুলে আনতে সাপোর্ট দেওয়ার মতো সক্ষমতা নেই। এক্সপোজার গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া নিয়মে চলতে গিয়ে বিনিয়োগের পরিধি কমেছে। এক্সপোজারের হিসাব করতে শেয়ারের বাজার মূল্য গণনা না করে ক্রয় বা কস্ট প্রাইসে হিসাব করতে হবে।
বৈঠকে নেতারা বলেন, কোনো শেয়ার কেনার পর দাম বাড়লে বাজার মূল্যে এক্সপোজার হিসাব করা হয়। কাজেই কোন শেয়ার কত টুকু বাড়বে আবার সেটি যেন এক্সপোজারকে ছাড়িয়ে না যায় প্রভৃতি বিবেচনায় বিনিয়োগ করতে হয়। এতে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সক্ষমতা কমেছে। এ জন্য বাজার মূল্যে গণনাকরে শেয়ার ক্রয় মূল্যে হিসাব করতে হবে।
ডিবিএ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন,পুঁজিবাজার নিয়ে ভয় পাওয়ার মতো এখনো কিছুই হয়নি। বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা-বেচার করেছে। তবের শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি বেশি হওয়ায় সূচক কমেছে। অনেকে বলছে ব্যাংকের ঋণ-আমানতের কারণে এমনটি হয়েছে। তবে সেটি আসলে যৌক্তিক কারণ নয়। এখন থেকে ৩-৬ মাস আগে এডি রেশিও ছিল ৫৫-৬০ শতাংশ। তখনও বাজারউঠানামা করেছে। কাজেই এটা বড় ফ্যাক্ট না। আসল ঘটনা হচ্ছে ব্যাংকগুলোর কাছে বাংলাদেশ ব্যাংক কনসলিটেড রিপোর্ট বিষয়ে। সেই রিপোর্টে জানতে চাওয়া হয় কেন এক্সপোজারের বাইরে গেলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ