এ দরপতনের ক্ষোভে ব্রোকারেজ হাউস থেকে সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনের রাস্তায় আবারও বিক্ষোভ- মিছিলে নেমেছেন বিনিয়োগকারীরা।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে দুপুর দেড়টা থেকে ২টা পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে দরপতনের প্রতিবাদ জানান তারা।
এ সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে বিনিয়োগকারীদের কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
এর আগে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি মুদ্রানীতি ঘোষণার পরদিন অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সিএসই’র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, 'চলামান দরপতনের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ-মিছিলে নেমেছি। আমরা চাই পুঁজিবাজার স্থিতিশীল থাকুক। বাজার স্বাভাবিক গতিতে চলুক। কিন্তু সরকারের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু সিদ্ধান্তের কারণে হঠাৎ করে বাজার দরপতন হচ্ছে। বিশেষ করে এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কারণে দরপতন হচ্ছে।
একইসঙ্গে বাজারের স্বার্থে এই মুহূর্তে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ (আইসিবি) অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি না করে শেয়ার কিনে মার্টেক সাপোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আজকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-মিছিল করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। যাতে এক ঘণ্টার মধ্যে এ কর্মসূচি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।
এর আগের দিন রোববার ( ৪ ফেব্রুয়ারি) অব্যাহত দরপতনের কারণ খুজে বের করতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন(বিএমবিএ), ডিএসই ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এবং ডিএসই’র শীর্ষ ৩০ ব্রোকারেজ হাউজের সিইও এবং এমডিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করা হয়।
বৈঠকে দরপতনের প্রধান কারণ হিসেবে ব্যাংকের এডি রেশিও কমানোর সারকুলার নিয়ে নেতিবাচক প্রচার, খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বিভিন্ন কোম্পানির নেতিবাচক ইপিএস প্রকাশ ইস্যুকে চিহ্নিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
এমএফআই/এএটি