সম্প্রতি দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল কাউন্সিলর অফিস থেকে চিঠিটি বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বরাবর পাঠানো হয়েছে। একই চিঠি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানকে দেওয়া হয়েছে।
চীনের এই চিঠির প্রেক্ষিতে বিএসইসি চীনা কনসোর্টিয়ামের বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর মতামত চেয়েছে। তার উত্তরে চীনা কোম্পানির সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
চীনা দূতাবাসের চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটাকে আরো গভীর করতে চাই, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও চীনের পুঁজিবাজারের বিষয়ে।
চিঠিতে বলা হয়, ডিএসইর আমন্ত্রণে চীনের সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের যৌথ কনসোর্টিয়াম সর্বোচ্চ দামে দরপত্রে অংশ নেয়। ডিএসইও প্রস্তাবটির অনুমোদন দিয়েছে। আশা করছি, বিএসইসি কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের জন্য যে নিয়ম-নীতি করেছে, সেই নিয়ম-নীতি অনুসারেই বিচার করবে।
উল্লেখ্য, ৬ ফেব্রয়ারি কৌশলগত বিনিয়োগকারীর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে ডিএসই। প্রস্তাবে শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ও কারিগরি সহযোগিতাসহ সব বিষয়ে এগিয়ে রয়েছে চীনা কনসোর্টিয়াম। এরপর ডিএসইর বোর্ড প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেয়। যা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি।
এরপর বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর পক্ষ থেকে বিএসইসিতে প্রস্তাবটি জমা দেয় ডিএসইর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ও কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আসাদুর রহমান।
ডিএসইর এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ওই দিন কমিশন ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করে। এদের মধ্যে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদকে আহ্বায়ক ও নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলমকে সদস্য সচিব করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন নির্বাহী পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান ও নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) কমিশন ডিএসইর বোর্ডের সঙ্গে প্রস্তাবনা নিয়ে আবারো আলোচনা করে। এরপর দিন মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির পর্যালোচনা কমিটি ডিএসইকে প্রস্তাবের কিছু শর্তের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয়। এর প্রেক্ষিতে বুধবার ডিএসইতে বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগামী ৪ মার্চের মধ্যে কমিশনের শর্তের ব্যাখ্যা দিবে ডিএসই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ