কোম্পানি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, দেশের অন্যতম বড় এই পেপার মিলটি ৭২ টাকা দরে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৭৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করবে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ১ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ারের বিনিময়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এ অর্থ উত্তোলন করবে কোম্পানিটি।
কোম্পানি সচিব এম নাসিমুল হাই বাংলানিউজিকে জানান, শেয়ার কেনার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বসুন্ধরা পেপারের মালিকানায় আসছেন।
সূত্র জানায়, বসুন্ধরা পেপার ২ কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬৭টি শেয়ারের বিনিময়ে পুঁজিবাজার থেকে ১৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত কাট অব প্রাইস ৮০ টাকা, এই দামে এলিজিবল ইনভেস্টরদের (ইআই) কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে ১২৫ কোটি টাকা।
আর বাকি ১ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ারের বিনিময়ে ৭৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে উত্তোলন করবে বসুন্ধরা পেপার মিলস।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১০০টি শেয়ারে লটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ২০০ টাকা (প্রতি আইপিও ৭২ টাকা)। এ টাকায় একজন বিনিয়োগকারী একটি বিও (বেনিফিসিয়ারি অ্যাকাউন্ট) হিসাব থেকে একবার আবেদন করতে পারবেন।
উত্তোলিত এই টাকা দিয়ে কোম্পানিটির কারখানার অবকাঠামো উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি কেনা, স্থাপনা ও ভূমি উন্নয়ন বাবদ ১৩৫ কোটি, ঋণ পরিশোধ বাবদ ৬০ কোটি এবং বাকি ৫ কোটি টাকা আইপিও বাবদ খরচ করা হবে।
এর আগে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ দশমিক ৪৬ টাকা। সম্পদ মূল্যায়নসহ শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ৩০ দশমিক ৪৯ টাকা।
উল্লেখ্য, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহে ২০১৬ সালের ৩০ জুন রোড শোর আয়োজন করে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। এরপর ২০১৭ সালের আগস্টে কাট অব প্রাইস নির্ধারণের জন্য বিডিংয়ের অনুমোদন পায়।
বিডিংয়ের মাধ্যমে কাট অব প্রাইস নির্ধারণের পর গত ৩০ জানুয়ারি বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য অনুমোদন পায় এ কোম্পানিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৮
এমএফআই/এমএ