ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

চীনা পুঁজিবাজারের সঙ্গে চুক্তির পরও দরপতন থামছে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
চীনা পুঁজিবাজারের সঙ্গে চুক্তির পরও দরপতন থামছে না

ঢাকা: কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনা দুই পুঁজিবাজারের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চুক্তি স্বাক্ষরের পরেও পুঁজিবাজারে দরপতন থামছে না। আগের নয় দিনের মতই সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৫ মে) সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এর ফলে টানা দশ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।

বিনিয়োগকারী এবং বাজার সংশ্লিষ্টদের ধারণা ছিলো, ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের সঙ্গে চুক্তি সম্পূর্ণ হলেই তার পরদিন থেকে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু সোমবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল লা মেরেডিয়ানে ডিএসই ও চীনের দুই পুঁজিবাজারের সঙ্গে চুক্তি হলেও মঙ্গলবার উভয় বাজারে দরপতন হয়েছে।

   

এদিন সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়ে চলে সকাল ১০টা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচকের পতন। যা অব্যাহত ছিলো দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এরপর আবারও সূচক বাড়ে ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। তবে দিনের বাকি সময় লেনদেন হয় সূচক পতনের মধ্যদিয়ে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৪ পয়েন্ট।

এদিন মিশ্র প্রবণতার মধ্য দিয়ে ব্যাংক, বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। তবে বস্ত্র, প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমেছে। তাতে দিন শেষে বড় ধরনের দরপতন থেকে রক্ষা পায় দেশের পুঁজিবাজার।

শাকিল রিজভী স্টকের বিনিয়োগকারী বাংলানিজকে বলেন, আমরা শুনেছি চীনা ইস্যুর কারণে এতোদিন দরপতন হয়েছে। আজ থেকে পুঁজিবাজারে উত্থান হবে। শেয়ারের দাম বাড়বে। কিন্তু আজ দেখছি উল্টোটা। কিছুই বুঝতে পারতেছি না। তবে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ডিএসই ব্রোকারর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। । তবে দু‘য়েকটি দিন সময় লাগবে।

ডিএসই’র তথ্য মতে, মঙ্গলবার ৯ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার ৮১টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৫ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৩০ কোটি ৮ লাখ ১৮৩ টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৭৮ কোটি ৭৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকার।  

ডিএসই’র তিন সূচকের মধ্যে ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৮ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ৩ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৭২ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক দশমিক ২৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।  

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৯টির।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ১৪ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে।  

সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১২১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।