ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজারে সাড়ে ৯শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ডিএসই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
পুঁজিবাজারে সাড়ে ৯শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ডিএসই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন ডিএসই’র প্রতিনিধি দল/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: চীনের সেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে বিক্রিকৃত শেয়ারের সাড়ে ৯শ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ারহোল্ডাররা। বাজারের চলমান আস্থা ও তারল্য সংকট দূর করে একটি স্থিতিশীল বাজারের তৈরির লক্ষ্যে এই টাকা বিনিয়োগ করবে তারা।

তবে তার জন্য আসছে বাজেটে এ টাকার ওপর থাকা ১৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স পুরোপুরি প্রত্যাহারের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে জমা দিয়েছে ডিএসই ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল।

মঙ্গলবার (২৯ মে) বিকেলে অর্থমন্ত্রীর দফতরে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএএম মাজেদুর রহমান আসছে বাজেট এই দাবিসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ১৪টি লিখিত প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর হাতে দেন।

এসময় ডিএসইর তিন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক শরিফ আতাউর রহমান, হানিফ ভূইয়া, মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিএসইর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ডিবিএ’র সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী, ডিবিএ’র বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোস্তাক আহমেদ সাদিক এবং ডিএসইর সিএফও আবব্দুল মতিন পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।

ডিবিএ’র সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী অর্থমন্ত্রীকে মৌখিকভাবে চারটি প্রস্তাবের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এগুলো হচ্ছে- কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনা কনসোর্টিয়ামের কাছে বিক্রিকৃত শেয়ারের প্রায় সাড়ে ৯শ কোটি টাকার ওপর বর্তমানে ১৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স আরোপ আছে। তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা, গত দুই বছরের মতই আসছে বাজেটেও ডিএসইর শেয়ারের ওপর শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া এবং ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেনের ওপর উৎসে কর দশমিক ০৫ শতাংশ টাকার পরিবর্তে দশমিক ০১৫ শতাংশ টাকা করা।

এছাড়াও পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখা ও বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আরো বেশি আকৃষ্ট করতে আসছে বাজেটে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশের ওপর করমুক্ত সুবিধা দেওয়া প্রস্তাব করা হয়।

এ বিষয়ে আহমেদ রশিদ লালী বাংলানিউজকে বলেন, বাজেটে ডিএসইর শেয়ারের ওপর ১৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স রয়েছে। তা প্রত্যাহার করার কথা বলেছি। এটি প্রত্যাহার করলে এ টাকা আমরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে। তাতে বাজারে ফ্রেস ফান্ড আসবে। তারল্য সংকট কিছুটা দূর হবে। পাশাপাশি শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা চেয়েছি। এটি দেওয়া হলে পুরো টাকা ডিএসইর উন্নয়নে ব্যয় করবো। এই টাকায় ডিএসইতে ডাটা সেন্টার ও ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলম্যান্ট করপোরেশন করা হবে।

এসব কথার সঙ্গে একমত পোষণ করে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বাংলানিউজকে বলেন, আসছে বাজেটের মোট ১৪টি প্রস্তাবনা দিয়েছি অর্থমন্ত্রীকে। এর মধ্যে চারটি দাবি’র প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অভিহিত করেছি।

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী আমাদের মৌখিক প্রস্তাবনাগুলো মনযোগ সহকারে শুনেছেন। তিনি বাংলাদেশ সিকিরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করছি, এগুলো দেওয়া হলে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন হবে। বাজার ভাল হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।