ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

স্পট মার্কেট থেকে ফিরেই বিক্রেতা সংকটে ড্রাগন সোয়েটার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮
স্পট মার্কেট থেকে ফিরেই বিক্রেতা সংকটে ড্রাগন সোয়েটার

ঢাকা: স্পট মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু প্রথম দিনে বোরবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিক্রেতা সংকটে ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ারের। ফলে লেনদেনের এক পর্যায়ে ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা না থাকায় হলটেড হয়ে থাকে শেয়ারটি লেনদেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, প্রায়  এক মাস (২৬ দিন) মূল মার্কেটে লেনদেন বন্ধ থাকার পর (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) কোম্পনির শেয়ারের লেনদেনের শুরুতে বিক্রেতা সংকট শুরু হয়। তবে দুপুর ১২টার দিকে কয়েকজন বিক্রেতা আগের দিনের চেয়ে ৩ টাকা লাভে অর্থাৎ ৩৬ দশমিক ৭০ পয়সায় শেয়ার বিক্রি করে।

এরপর সোয়া ১২টার দিক থেকে আবারও বিক্রেতা সংকটে পড়ে শেয়ারটিতে। শেষ পর্যন্ত ৩৬ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদের শেষ হয়। এর আগে শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিলো ৩৩ দশমিক ৫০ টাকায়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) উভয় বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন স্পট মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্তের পর স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিংসহ ৫টি কোম্পানির শেয়ার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্পট মার্কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএসইসি।

সম্প্রতি কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকহারে দাম বৃদ্ধির কারণে ড্রাগন সোয়েটার, মুন্নু সিরামিক, কে অ্যান্ড কিউ, আজিজ পাইপস ও স্টাইলক্রাফট লিমিটেডের শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেনের আদেশ দেয় কমিশন।

বৃহস্পতিবার বিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশন মনে করছে কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের ক্ষেত্রে যে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছিল সেটি বন্ধ হয়েছে। এ কারণে কোম্পানির শেয়ারের লেনদন মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হলো।

কমিশনের এ নির্দেশনার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএসই ও সিএসই রোববার (০৯ সেপ্টেম্বর) থেকে মূল মার্কেটে লেনদেনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২০১৬ সালে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৭ দশমিক ৮১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩০ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩১ দশমকি ২১ শতাংশ শেয়ার। কোম্পানির এখনো ৩৫ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এমআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।