ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

‘প্যানিক সেলে’ পুঁজিবাজারে বড় দরপতন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
‘প্যানিক সেলে’ পুঁজিবাজারে বড় দরপতন

ঢাকা: সূচক পতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৪৮ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে ৬০ পয়েন্ট।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এদিন ব্যাংক, বিমা, অর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র খাতসহ সব খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও।

দু’দিন সূচক বৃদ্ধির পর আবারও দরপতন হয়েছে। আর এ দরপতনের মূল কারণ হলো ‘প্যানিক সেল’।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাচেন্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বড় ইনস্টিটিউশনের তৃতীয় প্রান্তিক আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার সেল করে অড-জান্টমেন্ট করছে। পাশাপাশি চীনের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে কম দামে শেয়ার কিনতে ব্রোকারেজ হাউজগুলো একটু সেল প্রেসার বাড়িয়েছে।

এছাড়াও জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের শঙ্কায় রয়েছে বিনিয়োগকারীরা। এসব কারণে হঠাৎ করেই ‘প্যানিক সেল’ করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। ফলে পুঁজিবাজারে দরপতনও হচ্ছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার এ বাজারে ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৪৬টি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৫২৫ কোটি ৩৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫১৪ কোটি ৫২ হাজার টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৮৭ কোটি ৯৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার। তারও আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৮০ কোটি ৮ লাখ ৫ হাজার টাকা।
 
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ইনডেক্স ১০ দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৩০ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ ইনডেক্স ১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে।
 
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৭টির, কমেছে ২২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের।

অপর বাজার সিএসইতে সার্বিক সূচক ৬০ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
 
বাজারটিতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ১৪৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ার।
 
লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৭১ লাখ ২৯ হাজার ৫০৭ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯১ কোটি ১৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৪ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার টাকার।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
এমএফআই/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।