এর ফলে বিদায়ী সপ্তাহে (২১-২৫ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৮৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার বেশি। এর আগের সপ্তাহে কমেছিলো সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা।
আলোচিত সপ্তাহে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র খাতসহ সব খাতের শেয়ারের দাম কমায় বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যমতে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মূলধন ১ হাজার ৪০০ কোটি ৩৮ লাখ ২২ হাজার ৩২৪ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৮৩ হাজার ১৬৮ কোটি ৩৯ লাখ ৪ হাজার ৪২৯ টাকায়।
আর সিএসইতে বাজার মূলধন ১ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ১৩ হাজার ২৮০ কোটি ৭১ লাখ ৯ হাজার টাকায়।
ডিএসই’র তথ্যমতে, বিদায়ী সপ্তাহে এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪১১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ৪৭ কোটি ৪৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩৯৮ টাকা। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন কমেছে প্রায় ৩৬৪ কোটি টাকা। শতাংশের হিসাবে ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি।
ডিএসই’র তিন সূচকের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে ২৩ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৬৫ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরিয়াহ্ সূচক ৭ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ২৬২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিল ৬৩টির, কমেছে ২৬২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে সার্বিক সূচক ৮৬ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ১৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ১২০ কোটি ৬৩ লাখ ২২ হাজার ৬১২ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৮ কোটি ১৭ লাখ ২৮ হাজার ৭১৫ টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ১৩১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২২টি কোম্পানির। এর আগের সপ্তাহে বেড়েছিলো ৫৪টির, কমেছিলো ২১২টির আর অপরিবর্তিত ছিলো ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস