তবে ব্যাংক, প্রকৌশল, বস্ত্র খাতের প্রায় সব শেয়ারের দাম কমায় এদিন সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে মঙ্গলবার সূচক বাড়ার পর বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দু’দিন দরপতন হলো।
সূচকের ওঠানামার মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে ১৯ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক অবস্থায় প্যানিক হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে শেয়ার বিক্রির চাপে পুঁজিবাজারে দরপতন হচ্ছে।
ডিএসই’র তথ্যমতে, এ বাজারে ১৩ কোটি ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৫টি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৫৫৫ কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৬৩১ কোটি ৬১ লাখ ৮ হাজার টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৫৩১ কোটি ৫৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ২৪৪ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। তবে অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ইনডেক্স ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান নেয় ১ হাজার ২০৮ পয়েন্টে।
এছাড়া ডিএস-৩০ ইনডেক্স ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৫৬ পয়েন্ট। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৭টির, কমেছে ১৪১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে, সিএসইতে সার্বিক সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ১০৬টির এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ার অপরিবর্তিত রয়েছে।
এ বাজারে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৭০ লাখ ৬১ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ২৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
এমএফআই/আরবি/