মঙ্গলবারের (২০ নভেম্বর) মতোই ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রায় সব শেয়ারের দাম বাড়ায় এদিন উভয় বাজারে সূচক বাড়েছে। তবে কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।
বৃহস্পতিবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় উভয় বাজারে লেনদেন শুরু হয়ে চলে সকাল ১১টা পর্যন্ত। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপে সূচক নামে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। তবে দিনের বাকি লেনদেন হয় সূচক ওঠা-নামার মধ্যদিয়ে।
দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৪২ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এদিন ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫টির, কমেছে ৮টির এবং অপরিবর্তত রয়েছে ৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অপরদিকে আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭টির,কমেছে ২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির। অপরদিকে মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে বিমা, ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের দাম। ফলে ইতিবাজার প্রবণতায় উভয় বাজারে লেনদেন হয়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসই’র তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার এ বাজারে ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৫ হাজার ৪১৫টি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৫৫২ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনেদেন হয়েছিলো ৭১৭ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৮০৩ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার টাকার।
এদিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ দশমিক ১১ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৩০৫ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ইনডেক্স ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান নিয়েছে ১ হাজার ২২৭ পয়েন্টে। এছাড়াও ডিএস-৩০ ইনডেক্স দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৬৮ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ১৫৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
অন্যদিকে সিএসইতে সার্বিক সূচক ৪২ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ৯৮টির এবং ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এ বাজারে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস দিন লেনদেন হয়েছিলো ২৭ কোটি ৯ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৫ টাকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ