এ দিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৯ পয়েন্ট।
তবে শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।
ফলে দুইদিন উত্থানের পর আবার একদিন বাজারের দরপতন হলো। কেননা, এর আগে আবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারও (২৫ নভেম্বর) সূচকের পতন হয়েছিল।
বুধবার ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রকৌশল খাতের কোম্পানির শেয়ারের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হওয়া সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসই’র তথ্যমতে, বুধবার এ বাজারে ১৫ কোটি ৫৪ লাখ ৯৯ হাজার পাঁচটি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৫৯৪ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৩৮ কোটি ৮৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকার। তারও আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬১৫ কোটি ৭৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকার।
এ দিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ দশমিক ৮২ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ইনডেক্স ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান নেয় এক হাজার ২২২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস-৩০ ইনডেক্স ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় এক হাজার ৮৬০ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ১৬৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
অন্যদিকে, সিএসইতে সার্বিক সূচক ৯ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ১১২টির এবং ২৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এ বাজারে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৫ হাজার ৪৩৮ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৩ কোটি ৮৬ লাখ ১০ হাজার টাকার। তারও আগের দিন সিএসইতে লেনেদেন হয়েছিল ৩০ কোটি ৪৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
এমএফআই/টিএ