বিদায়ী এ বছরে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে ৮৩ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা, সূচক কমেছে ৮৫৮ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট। ফলে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ডিসেম্বর) ডিএসই থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজারের সার্বিক সম্পর্কে তিনি বলেন, কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে যুক্ত করা বাজারের জন্য ইতিবাচক দিক৷ তাদের অন্তভুক্তি বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে পরিচিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে৷ বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রেও এটি অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে৷
তিনি বলেন, নির্বাচনী বছর উপলক্ষ্যে ২০১৮ সালে বাজার কিছুটা গতি মন্থর দেখা গেছে৷ কিন্ত তারপরও আশানুরূপ যে গতি অর্জন করার কথা ছিল তা অর্জন করতে না পারলেও দেশের পুঁজিবাজার এমন একটি মাত্রায় অবস্থান করতে পেরেছে যার ফলে বাজারে তেমন কোন সংকট দেখা দেয়নি৷
মাজেদ আরো বলেন, এ বছরে নতুন কিছু প্রোডাক্ট চালু করার কথা ছিল যেমন এসএমই এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড৷ এই বিষয়ে ডিএসই প্রযুক্তিগত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে৷ নতুন বছরের প্রারম্ভেই ডিএসই নতুন এ বিষয়গুলো চালু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন৷ একটি উন্নত ও কার্যকর বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা বিষয়েও ডিএসই কাজ করছে৷ নতুন বছরের বাজেটে প্রণোদনা পাওয়া সাপেক্ষে বন্ডমাকেটও শিগগিরই চালু করা সম্ভব৷
এছাড়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিশেষ করে একটি ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ বাজারে আনা প্রয়োজন৷ এ বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে৷ আগামী বছর আমরা এটি চালু করতে পারবো বলে দৃঢ় বিশ্বাস৷ সব চাইতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি আমরা করতে পারবো কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ৷ আশা করি নতুন বছর এব অজর্নের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের এক নতুন মাত্রা যোগ হবে৷
এমডি বলেন, দেশের অর্থনীতির বর্তমান উন্নয়নধারা ও ডিএসই’র গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের বাস্তবায়নের আগামী দিনে দেশের পুঁজিবাজার হবে বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রস্থল৷ সকলের সহযোগীতায় ডিএসই ভবিষ্যতে এশিয়ার নেতৃস্থানীয় স্টক এক্সচেঞ্জের সারিতে পরিণত হবে৷ নতুন বছরে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে পুঁজিবাজারের টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে সামনে এগিয়ে নেয়াই হবে মূল লক্ষ্য৷
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
এমএফআই/এমএমএস