ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালকসহ ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৯
পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালকসহ ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা: কোনো জামানত ছাড়াই হিসাব খুলে ১০ কোটি টাকার  বেশি অর্থ আত্মসা‍তের অভিযোগে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক পরিচালক বিশ্বজিৎ কুমার রায়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)।

মামলার অন্য চার আসামি হলেন ওই পরিচালকের স্ত্রী শিল্পী রানী রায়, দুই ভাই রনবীর কুমার রায় ও ইন্দ্রজিৎ কুমার রায় এবং কোম্পানির সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন।  

বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টন থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।


 
মামলার এজহারে বলা হয়, কোম্পানির নিয়াম লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে কোনো জামানত ছাড়াই হিসাব খুলে কোম্পানি থেকে ১০ কোটি ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ৬০৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা। যা দন্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
 
২০১০ সালের ২১ মার্চ বিশ্বজিৎ কুমার রায়ের নামে ১০ লাখ টাকা ঋণ বোর্ডের সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ওই দিন প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড থেকে ঋণের টাকা উত্তোলন করেন তিনি। এরপর এ ঋণকে ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯৮১ টাকায় পুনঃতফসিল করা হয়। যা ২০১৮ সালের ৩১মার্চ পর্যন্ত সুদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১  লাখ ২৯ হাজার ১৩৮ টাকায়। সবমিলিয়ে সুদসহ ঋণের পরিমাণ ২৯ লাখ ২৬ হাজার ১১৯ টাকা।
 
পুনঃতফসিলি করণের আগে ২ লাখ ১২ হাজার ৫০০টাকা জমা দেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের পরে কোনো টাকা জমা দেননি। কোম্পানির ২৭ লাখ ১৩ হাজার ৬১৯ টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেন তিনি।
 
একই ভাবে বিশ্বজিৎ কুমার রায়ের নামে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা অনুমোদন করে ঋণ বোর্ড। কিন্তু আগের মতই এ ঋণকে ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬২ হাজার ২৭৬ টাকায় পুনঃতফসিল করেন ২০১৮ সালের ৩১ মার্চে। সুদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৬২ লাখ ৭ হাজার ২২৬ টাকা। আর সুদসহ ঋণের পরিমাণ ৪ কোটি ২৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫০২ টাকায়। সেই টাকার মধ্যে পুনঃতফসিলের জন্য ৩৮ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০ টাকা জমা দেন তিনি।  
কিন্ত সুদসহ বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি ৮৭ কাটি ২৪  হাজার ৭০২ টাকা পরিশোধ না করে তা আত্মসাৎ করেন বিশ্বজিৎ।
 
এজহারে আরও বলা হয়, মামলার অন্য আসামি শিল্পী রানী রায়, রনবীর কুমার রায় এবং ইন্দ্রজিৎ কুমার রায়ও বাকি টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেছেন। তাদের এই অসৎ কাজে সহযোগিত‍া করেন পিপলস লিজিংয়ের সাবেক নির্বাহী পরিচালক হেলাল উদ্দিন, মহাব্যবস্থাপক আ ন ম তারিক চৌধুরী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক দলিল উল হক।
 
এর মধ্যে আ ন ম তারিক চৌধুরী ও দলিল উল হক ২০১৭ সালের ২৯ সেপন্টেম্বর মৃত্যু বরণ করেছেন। তাই পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের একজন কর্মকর্তা।  
 
বাংলাদেশ  সময়:০৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
এমএফআই/আরএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।