সোমবার (২৯ এপ্রিল) মতিঝিলের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিনিয়োগকারীদের প্রতীকী গণঅনশনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে কোনো দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ফিনান্সিয়াল সেক্টর বা আর্থিক খাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মেনন বলেন, ২০১০ সালে পুঁজিবাজার যখন ধ্বংসের দিকে নেমেছিল তখন এখানে এসেছিলাম। আবার যে এখানে আসতে হবে সেটা চিন্তাও করিনি। তিনি বলেন, সে সময় খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছিল। সেই কমিটি একটি রিপোর্টও দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য সেই রিপোর্টের আংশিক প্রকাশ হয়েছিল। যা আমরা এখনো জানতে পারিনি।
তিনি আরো বলেন, আমার এখনো মনে আছে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সেদিন একটি কথা বলেছিলেন, ‘এদের হাত এতো লম্বা যে আমার পক্ষে এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত ১০ বছর ধরে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছেন এবং সব অপশক্তির বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আজকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এখন কিছু খেলোয়াড়ের হাতে আমাদের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা জিম্মি হয়ে পড়বেন, তারা সর্বহারা হবেন এটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আমি মনে করি সরকার যদি দৃঢ়ভাবে ভূমিকা পালন করে অবশ্যই এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে’।
মেনন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন বলেছিলেন, এই পর্ষদ পরিবর্তন করতে হবে, তা না হলে বাজার ভালো হবে না। কিন্তু কিভাবে পর্ষদ এখনো রয়ে গেলো তা আমি জানি না।
কারসাজি সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারতীয় শেয়ার বাজার নিয়ে কারসাজি হয়েছে, একজন বিনিয়োগকারীকে এজন্য সাজাও দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে যারা কারসাজি করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, গতকাল সংসদে আমাদের অর্থমন্ত্রী প্রশ্নের জবাবে স্বীকার করেছেন পুঁজিবাজারের সংকট আছে। তিনি বলেছেন পুঁজিবাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ সময় অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সমস্যা যখন স্বীকার করেছেন সমাধান আপনাকেই করতে হবে। আপনি বলেছেন আগামী বাজেটে শেয়ার মার্কেটের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হবে। সে ঘোষণা ১৩ জুনের আগে দেওয়ার কথা বলেন মেনন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস