ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজারে সূচক পতন অব্যাহত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯
পুঁজিবাজারে সূচক পতন অব্যাহত

ঢাকা: আস্থা ও তারল্য সংকটের কারণে পুঁজিবাজারে সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। টানা চার কার্যদিবসে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ১৪৫ পয়েন্ট ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৭৬ পয়েন্ট।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক মন্দাদশার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে।

তবে তারল্য সংকট অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তারা।

এব্যাপারে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক মন্দাদশার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রধান হলো- ব্যাংকিং খাতে তীব্র তারল্য সংকট থাকায় পুঁজিবাজারেও তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই হচ্ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারি হিসেবে কর্মরত মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজ। খোদ ব্যাংকেরও নিজস্ব পোর্টফোলিও আছে। কিন্তু তারল্য সংকটে এরা কেউ বিনিয়োগে সক্রিয় নয়।  

এছাড়া বিভিন্ন ইস্যুতে বিএসইসি ও স্টক ব্রোকারদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে; বিশেষ করে বিএসইসি ও ডিএসই কার্যত মুখোমুখি অবস্থানে। গত দুই মাস ধরে এর প্রভাবে বাজার সবচেয়ে বেশি নাজুক হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন তিনি।  

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে বাজারে ভালো কোম্পানির আইপিও না আসায় এবং সেকেন্ডারি বাজার গতিহীন থাকায় নতুন বিনিয়োগকারী আসেনি। বরং চলতি বছরেই ৩ লাখের বেশি বিও হিসাব কমেছে। এটিও বাজারে তারল্য সংকট বাড়িয়েছে বলে তিনি মনে করেন।  

এদিকে সোমবারও (০২ সেপ্টেম্বর) পতনে শেষ হয়েছে দেশের উভয় পুঁজিবাজারের লেনদেন।  

জানা গেছে, এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৩ পয়েন্টে। ডিএসইতে অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়া সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৭২ ও ১৭৭৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৪টি কোম্পানির মধ্যে ১০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ২০৯টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার দর।

এদিন ডিএসইতে ৩৩২ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১০ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩০২ কোটি টাকার।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠান হলো-মুন্নু সিরামিক, ইউনাইটেড পাওয়ার, স্টাইল ক্রাফট, আইটিসি, সিলকো ফার্মা, ওয়াটা কেমিক্যাল, বিকন ফার্মা, ন্যাশনাল পলিমার ও মুন্নু জুট স্টাফলার্স।  

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৮৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪১২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৪৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির দর।  

সিএসইতে ১৪ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে এক কোটি টাকা বেশি। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি টাকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।