সোমবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তার দফতরে পিএলএফএসের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন।
তাদের দাবি ছিল, পিপিলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (পিএলএফএস) অবসায়ন (বন্ধ) প্রক্রিয়া বন্ধ করা এবং ক্ষুদ্র ও ব্যক্তি আমানতকারীদের সঞ্চয় আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
সাক্ষাৎ শেষে পিএলএফএসের পক্ষে আতিকুর রহমান আতিক গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পিপলস লিজিংয়ের ক্ষুদ্র আমানতকারীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ রেখে এখন তা ফেরত না পেয়ে চরম অসহায় অবস্থায় দিন পার করছে। তারা কোথায় গেলে এই টাকা ফেরত পাবে, সেটার কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। এই টাকা থেকে অনেক অবসরপ্রাপ্ত মানুষের সংসারের ব্যয় নির্বাহ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ও চিকিৎসা খরচ চলতো। এখন সব বন্ধ। ’
তার অভিযোগ, একটি অসাধু চক্র সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক আমাদের সর্বশান্ত করে দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তারা বিভিন্ন কৌশলে, নামে-বেনামে আমানতকারীদের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এখানেই তারা থামেনি। পরিকল্পনা মাফিক তারা এই প্রতিষ্ঠানটিকে অবসায়নের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আমরা ভীত যে, এভাবে এগোতে থাকলে এই চক্র সব দায়দেনা থেকে মুক্তি পাবে আর বিদেশে পাচার হয়ে যাবে শত কোটি টাকা। আমাদের সব সঞ্চয় লুট করে এই লিজিংয়ের পরিচালকসহ অন্যরা আরাম-আয়েশে জীবন যাপন করছে। বিদেশে তারা সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে। ’
এরকম অবস্থায় অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের আশায় আছি, যেন আমানতকারীদের জীবন বাঁচে। তাদের অর্থমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান আতিকুর রহমান।
পিপলস লিজিংয়ের পক্ষে এ সময় আরও ছিলেন প্রশান্ত কুমার দাস, রানা ঘোষ, সামিয়া বিনতে মাহবুব, আবু নাসের বখতিয়ার ও কামার আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এমআইএস/এইচএডি/