তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী, কিন্তু পুঁজিবাজার ঠনঠন, সেটাতো হতে পারে না। সুতরাং এর কারণগুলো আপনাদের (ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. রকিবুল রহমান) খুঁজে বের করতে হবে।
রোববার (০৮ মার্চ) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি কেমন চলছে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান ও ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. রকিবুল রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারের সঙ্গে আমাদের অনেক মানুষ জড়িত। পুঁজিবাজারকে বাদ দিয়ে সরকার চিন্তা করে না। আমরা পুঁজিবাজারকে আমাদের সঙ্গে দেখতে চাই, আমাদের অর্থনীতিতে দেখতে চাই। সেজন্য যা কিছু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আপনারা নেন। সরকার সব ধরনের সাহায্য করবে। পুঁজিবাজারে অবশ্যই আমাদের সফলতা পেতে হবে। সরকার অর্থনীতিকে কতটা শক্তিশালী করলো এর রিফ্লেকশনটা পড়ে পুঁজিবাজারে। এটা একেবারে ডিরেক্ট প্রতিবিম্ব, আয়না।
তিনি বলেন, সরকারের কাজ হবে পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করার জন্য এ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে তার রিফ্লেকশন যাবে পুঁজিবাজারে। এটা ডিরেক্ট লিংক। তারপরও অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী কিন্তু পুঁজিবাজার ঠনঠন, সেটাতো হতে পারে না।
পুঁজিবাজারে সমস্যা রয়েছে, সমাধান হচ্ছে না, সমাধানের পথ তৈরি করুন, আমরা সমাধান দেখতে চাই, সমাধান আপনার হাত দিয়েই সম্ভব, এমন বিষয়ে বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে আইন অনেক আছে। আইনগুলোতে কোনো অসঙ্গতি আছে কি না সেগুলো দেখবেন। সেগুলো দেখার জন্য যারা কমিটিতে আছেন তাদেরও আপনারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। এখন এক হয়ে কাজ করলে এর সমাধান পাবেন। একীভূত না হয়ে একে অপরের সমালোচনা করলে আমরা কাজটি করতে পারবো না।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
জিসিজি/জেডএস