ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

স্বতন্ত্র-শেয়ারহোল্ডার পরিচালক উন্নয়নের দিকনির্দেশক

সিনিয়র করেসপন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
স্বতন্ত্র-শেয়ারহোল্ডার পরিচালক  উন্নয়নের দিকনির্দেশক ডিএসই

ঢাকা: ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্পন্সর ও ডিরেক্টররা বাজারের সুযোগ নিয়ে নিজেদের স্বার্থ দেখেছে, সেসব কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা এটা একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এটা সঠিকভাবে কার্যকর করা গেলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে’।



রোববার (৩১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক মো. রকিবুর রহমান এ কথা বলেন।

রকিবুর রহমান বলেন, এটা সব তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং তথাকথিত স্পন্সর/ ডিরেক্টরদের একটি বার্তা দেবে, এখন থেকে যে যাই ইচ্ছা তাই করতে পারবেন না। সবাইকে পুঁজিবাজারে শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে হবে। যে যতই শক্তিশালী হোক। পুঁজিবাজারে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে লাভ নেই। তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে সবাই শেয়ারহোল্ডার, কেউ মালিক নন। এখানে মালিকানা বলতে কিছু নেই। কেউ বড় শেয়ারহোল্ডার, কেউ ছোট শেয়ারহোল্ডার, সবাই সমান।

তিনি বলেন, বিএসইসির মেজরের দায়িত্ব হচ্ছে, ছোট শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষা করা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বে বিএসইসি এই কাজ দৃঢ়ভাবে করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন শেয়ারে আমরা তার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। একইসঙ্গে পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে এবং বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরে আসছে। যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্পন্সর/ডিরেক্টর কোম্পানির পারফরমেন্সের দিকে নজর না দিয়ে, বিগত বছরগুলোতে ২, ৩০ শতাংশ হারে শেয়ারহোল্ড না করে, শুধু নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য কৃত্রিমভাবে ভুল তথ্য দিয়ে শেয়ারের দাম দিয়ে বৃদ্ধি করে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা করে বেশি দামে নিজেদের সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন, যাদের কোম্পানির শেয়ার দাম ১০ টাকার নিচে, তাদের বাধ্য করতে হবে শেয়ারবাজার থেকে অন্তত অভিহিত মূল্যে শেয়ার বাইব্যাক করার জন্য। যদি বাইব্যাক না করে তাহলে তাদেরকে ম্যানেজমেন্ট পরিচালনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।

যদি কোনো বিনিয়োগকারী বাজার থেকে ২ শতাংশ শেয়ার কেনা থাকে তাহলে অটোমেটিক্যালি তাকে পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করে কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট পরিচালনার সুযোগ করে দিতে হবে। যদি সেই ধরনের কোনো সুযোগ না থাকে তবে, এসব কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে, এর দায়িত্ব হবে কোম্পানির সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে দক্ষ ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষা করা বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, তালিতাভুক্ত কোম্পানির এই তথাকথিত ডিরেক্টরদের ব্যাপারে বিএসইসিকে অত্যন্ত কঠোর হতে হবে। বোর্ড পুনর্গঠনের দায়িত্ব বিএসইসির, এ ব্যাপারে কারো কোনো প্রভাবই খাটবে না।

তিনি আরও বলেন, দেউলিয়া আইন সংশোধন করে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের লাইফস্টাইল এ হাত দিতে হবে। এটাই টাকা আদায়ের বাস্তবসম্মত একমাত্র পথ। তাই কোম্পানিতে তথাকথিত স্পন্সর/ ডিরেক্টরদের একক ও সম্মিলিতভাবে ২ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই, তাদের পুনর্গঠনে বিএসইসি কঠোর এবং বাস্তব অবস্থানে থাকবে এটাই আমার এবং লাখো বিনিয়োগকারীর প্রত্যাশা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
এসএমএকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।