ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে রেমিট্যান্সকে কাজে লাগাতে চাই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে রেমিট্যান্সকে কাজে লাগাতে চাই বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ

ঢাকা: ‘প্রবাসীরা অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠায়। তাদের কারণে বাংলাদেশে এখন রেকর্ড রিজার্ভ জমা হয়েছে।

আমরা চাই তাদের পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ যেনো দেশে বসে না থাকে। সেটাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই এবং সেখান থেকে তাদেরকে মুনাফা অর্জনে সহযোগিতা করতে চাই’।

সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টায় ‘প্রবাসী বাংলাদেশি (এনআরবি) আইপিও আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে ডিজিটাল প্ল্যার্টফর্মে’ বিএসইসি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত গণশুনানিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।  

শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সকে কিভাবে সংযুক্তি এবং বিনিয়োগকে সহজ করা যায়, তা নিয়ে কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। এরইমধ্যে প্রবাসীদের জন্য নিটার মাধ্যমে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের সহযোগিতার জন্য কমিশন অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। বিও হিসাব খোলা সহজীকরণ করার লক্ষ্যে ডিজিটাল বিও চালু করা হয়েছে। এখন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে বিও হিসাব খোলা যাবে। এছাড়া বিদেশে লেনদেন করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল বুথ চালু করা হয়েছে। গতমাসে দুবাইয়ে একটি ডিজিটাল বুথ খোলার মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু হয়েছে। ক্রমানয়ে অনেক দেশেই এই বুথ চালু করা হবে।

শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজার এখন অনেক উন্নত। এটাকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কমিশন কাজ করছে।

এই বাজারে প্রবাসীদের বিনিয়োগকে সাধুবাদ ও আমন্ত্রণ জানান তিনি।  

অনুষ্ঠানে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কমিশন শেয়ারবাজারের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে আইপিও আবেদন থেকে লেনদেন শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে।  

তিনি বলেন, প্রতিটি আইপিওতে প্রবাসীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট কোটা রাখা হয়েছে। এটা যেন প্রবাসীরাই পায়, কমিশন সেলক্ষ্যে কাজ করছে। আর তাদের এই কোটার শেয়ার পাওয়া সহজীকরণ করার লক্ষ্যে আজ গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে। এখান থেকে সহজীকরণের পরামর্শগুলো নিয়ে পরবর্তীতে কমিশনে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ গণশুনানিতে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার মো. আব্দুল হালিম। এছাড়া ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটোয়ারী, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন এবং ডিএসইর লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম অংশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
এসএমএকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।