আজ ভুবনেশ্বরে ওড়িষার বিপক্ষে ড্র করলেই এএফসি কাপের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জোনাল সেমিফাইনাল প্লে অফ খেলত কিংস। তবে রেফারির এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে উল্টো ওড়িষা ১-০ গোলে কিংসকে হারিয়ে পরের পর্বে খেলবে।
বিতর্কিত রেফরিংয়ের তদন্ত চেয়ে কিংস-ওড়িশা ম্যাচ শেষে কেবল নিজের বিবৃতি দিয়ে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করেন বসুন্ধরা কিংস কোচ অস্কার ব্রুজোন। তিনি বলেন, 'আমি এই ম্যাচের কোন টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস করতে চাই না। খেলার বৃহত্তর স্বার্থে শুধু অনুরোধ করবো এএফসি যাতে বাংলাদেশের এই দলটার সঙ্গে এএফসি কাপে যা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে। ঘরের মাঠে আগের ম্যাচের পর আমরা রেফারির নিরপেক্ষতা নিয়ে অভিযোগ করেছিলাম- যে রেফারি আমাদের অগ্রযাত্রা থামাতে চেয়েছেন। তবে সেই ম্যাচে আমার ছেলেরা অসাধারণভাবে ফিরে এসে ম্যাচ জিতেছিল। তবে আজ...। আমি আবারও বলছি, এএফসির অবশ্যই রেফারির বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। এখানে দুটি ঘটনা ঘটতে পারে। প্রথমত হতে পারে অর্থনৈতিক ব্যাপার। দ্বিতীয়ত কারো কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে এমনটা করেছে। এটাই এই ম্যাচ নিয়ে আমার বক্তব্য। এছাড়া আর কিছু বলতে চাই না, ধন্যবাদ। '
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কিংসের ফুটবলার আসরর গফুরভের লালকার্ড। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে নিজেদের অর্ধে পেছনে থাকা একটি ট্যাকল করেন গফুরভ। সেই ট্যাকল অবশ্য খুব বিপজ্জনক ছিল না। কিন্তু ভিয়েতনামের রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান। কিংসের ফুটবলার ও ডাগআউট এই সিদ্ধান্ত মেনেই নিতে পারেনি। বিশেষ গফুরভ কান্নাও করেছেন মাঠ ছাড়তে ছাড়তে। কিংসের স্পেনিশ কোচ টাচলাইনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন। এজন্য তাকেও একটি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন কোচ। তবে সতীর্থকে ফাউল করতে দেখে ওড়িশার এক ফুটবলার দৌড়ে এসে গফুরভকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। এক্ষেত্রে রেফারি শুধু ওয়ার্নিং দেন। তা দেখে বিস্মিত গোটা স্টেডিয়াম। ওড়িশার সমর্থকরাও যেন একটু লজ্জাই পেয়ে গেলেন তাতে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
এআর