ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২, ২৪ জুন ২০২৫, ২৭ জিলহজ ১৪৪৬

খেলা

প্রয়াত জিয়ার স্মরণে গ্র্যান্ডমাস্টার দাবা টুর্নামেন্ট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৩২, জুন ২৩, ২০২৫
প্রয়াত জিয়ার স্মরণে গ্র্যান্ডমাস্টার দাবা টুর্নামেন্ট গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান/সংগৃহীত ছবি

দাবার বোর্ডে যিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য, সেই গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে এবার প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জিয়া মেমোরিয়াল গ্র্যান্ডমাস্টার দাবা টুর্নামেন্ট’। ৪ জুলাই শুরু হয়ে ১২ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই ঐতিহাসিক আয়োজন, যা হতে যাচ্ছে দেশের দাবা অঙ্গনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

ভারত, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও থাইল্যান্ডসহ একাধিক দেশের আন্তর্জাতিক মানের দাবাড়ুদের অংশগ্রহণে এই টুর্নামেন্ট ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক গুরুত্ব পেয়েছে। খেলাটি হবে সুইস লিগ পদ্ধতিতে ৯ রাউন্ডে, যেখানে অংশ নেবেন বাংলাদেশি গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ, রিফাত বিন সাত্তার, আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান এবং প্রয়াত জিয়ার সন্তান তাহসিন তাজওয়ার, যিনি নিজেও প্রতিশ্রুতিশীল দাবাড়ু।

এই টুর্নামেন্ট শুধু আরেকটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি বাংলাদেশের নিজস্ব একজন কিংবদন্তিকে ঘিরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দাবা আয়োজনের শুরু। যেমনটি কিউবায় আয়োজন করা হয় বিশ্বখ্যাত হোসে রাউল ক্যাপাব্লাঙ্কাকে ঘিরে—বাংলাদেশ পাচ্ছে ঠিক তেমনই একটি আয়োজন।

এই উদ্যোগের মূল কারিগর জিয়ার স্ত্রী তাসনিম সুলতানা লাবণ্য। সহায়তায় রয়েছে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন। লাবণ্য বলেন,
“এই টুর্নামেন্ট আমাদের পরিবারের আবেগের জায়গা। এবারে শুরু করছি ফেডারেশনের সহযোগিতায়, ভবিষ্যতে একে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে চাই। আমার ছেলে তাহসিন তাজওয়ারেরও এটিই স্বপ্ন। ”

২০২৩ সালের ৫ জুলাই, একটি প্রতিযোগিতার সময় দাবা বোর্ডের ওপর বসেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন জিয়াউর রহমান। খেলতে খেলতেই চলে যাওয়া—দাবা ও তার জীবনের সম্পর্কের এক অনন্য প্রতীক হয়ে রয়ে গেছে সেই মুহূর্তটি।

তার মৃত্যুর ঠিক এক বছর পর, ৪ জুলাই, শুরু হচ্ছে তার নামাঙ্কিত এই আন্তর্জাতিক দাবা আসর। আয়োজকরা বিশ্বাস করেন, এই আয়োজন শুধু জিয়াকে স্মরণ করতেই নয়, নতুন প্রজন্মকে দাবার প্রতি অনুপ্রাণিত করতেও এক বড় পদক্ষেপ হবে।

টুর্নামেন্টে মোট ৫ লাখ টাকা প্রাইজমানি রাখা হয়েছে। আয়োজকেরা জানান, ভবিষ্যতে এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্বের অনেক দাবাড়ুর কাছেই এই আয়োজনটি আবেগের—কারণ জিয়াউর রহমান ছিলেন অনেকেরই শিক্ষক, বন্ধু ও অনুপ্রেরণা। তাই এই টুর্নামেন্ট এক অর্থে হয়ে উঠছে তাদের জন্য এক মিলনমেলাও।

এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।