ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

দুঃখ নেই উরুগুয়ের, নেদারল্যান্ডসও খুশি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১০
দুঃখ নেই উরুগুয়ের, নেদারল্যান্ডসও খুশি

কেপটাউন: কতদিনের অপেক্ষা টিউলিপ ফুলের হাসি দেখবে বিশ্ব। যারা গতি আর ছোট ছোট পাসে ফুটবলকে নিয়ে গেছে শীল্পের পর্যায়ে।

যাদেরকে বলা হয় টোটাল ফুটবলের জনক। সেই নেদারল্যান্ডসের দুঃখ ঘোচানোর পালা।

বিশ্বকাপ মঞ্চে শিরোপা উচিয়ে ধরতে মাত্র একটি ধাপ পেরোতে হবে নেদারল্যান্ডসকে। শিরোপার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কোচ বার্ট ফন মারউইকের দৃষ্টিতে অনন্য উচ্চতায় অবস্থান নিয়েছে তাঁর দল।

উরুগুয়েকে হারিয়ে নেদারল্যান্ডস ফাইনাল নিশ্চিত করার পর মারউইক বলেন,“অবিশ্বাস্য জায়গায় পৌঁছে গেছি। ৩২ বছর অপেক্ষার পর এখানে এসেছি। ছোট দেশ হিসেবে আমরা গর্ব করতে পারি।

ডাচদের এখন শীর্ষ চূড়ায় উঠা বাকি। যেখানে রাখা আছে সোনার মুকুট। পূর্বসূরিরা ১৯৭৪ সালে পশ্চিম জার্মানি এবং ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে একই উচ্চতা থেকে ফিরে এসেছে। এবার তার পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না ওয়েসলি স্নাইডার। তাঁর মতে,“সবচেয়ে বড় হলো বিশ্বকাপ জয়। আমরা শিরোপার খুব কাছে। বিশ্বকাপের চেয়ে বড় আর কিছুই নেই। ”

কোচ মারউইকের মনেও একই বাসনা,“মাত্র একটি ম্যাচ বাকি আছে। আমাদের পাড়ি দিতেই হবে। ”

টুর্নামেন্টে এখনো অজেয় দল নেদাল্যান্ডস। বিশ্বকাপের পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিয়ে এতদূর আসা সহজ ছিলো না। সেমিফাইনালেই অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। আরেকটু হলে তো ধরেই ফেলেছিলো দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। স্নাইডার স্বীকারও করেছেন,“খুবই কঠিন একটি ম্যাচ ছিলো। দারুণ লড়াই হয়েছে। ”

সত্যিই দারুণ লড়েছে লাতিন দেশ উরুগুয়ে। দলটির কোচ অস্কার তাবারেসের কথাতেই বিষয়টি জলের মতো পরিষ্কার। বলছিলেন,“আমি খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত। যাদের কাছে হেরেছি তারা নিঃসন্দেহে আমাদের চেয়ে অনেক ভালো দল। তবে যারা ফাইনালে গেছে তাদেরকে সহজে ছেড়ে দেইনি। শেষ পর্যন্ত চাপে রাখতে পেরেছি। ”

এখানেই শেষ নয় ৪০ বছর পর সেমিফাইনালে উঠে আসা উরুগুয়ের জন্য অনেক বড় সাফল্যও বলে মনে করেন কোচ। বলেন,“আমি উরুগুয়ের ফুটবল সম্পর্কে জানি। এও জানি বিশ্ব ফুটবলের কোন অবস্থানে দাঁড়িয়ে উরুগুয়ে। দলের পারফরমেন্সে আমি খুশি। ”

নেদারল্যান্ডস শুরু থেকেই সেরা খেলাটাই খেলেছে। ১৮ মিনিটেই সাবেক অধিনায়ক গিওভান্নি ফন ব্রঙ্কহস্ট দলকে এগিয়ে নেন। এরপর দিয়েগো ফরলানের গোলে ম্যাচে ফেরে উরুগুয়ে। ৬৯ এবং ৭৩ মিনিটে পরপর দুই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।

যদিও দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে আপত্তি আছে তাবারেসের। তাঁর দৃষ্টিতে,“অফসাইড থেকে গোল পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। সেটাই মানসিকভাবে চাঙ্গা করে দিয়েছে প্রতিপক্ষকে। এরপরেও আমরা হারিয়ে যাইনি। মেক্সি পেরেইরার গোলের পর ফাইনালের স্বপ্ন দেখেছি আমরা। ”   

প্রতিপক্ষ দলের প্রশংসাও করেছেন তাবারেস,“তারা যখন প্রথম গোল পায় তখনই বোঝা হয়ে গেছে ডাচ খেলোয়াড়রা অসাধারণ মেধাবী। যে কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা গোল করার সামর্থ্য রাখে। ”

ব্রাজিলের মতো বিশ্বনন্দিত ফুটবল দল যাদের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছে। সেখানে সেমিফাইনালে উরুগুয়ে হেরেছে ৩-২ গোলে। হারটা তাই মোটেও অশোভন মনে করছেন না কোচ।

ফাইনালে খেলা না হলেও এখনও বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়নি লাতিন দেশটির। তাদেরকে খেলতে হবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। জার্মানি এবং স্পেন ম্যাচের পরাজিত দল হবে তাদের প্রতিপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২৬ ঘন্টা, জুলাই ০৭, ২০১০


    





বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।