ঢাকা: হকিতে সংকট মানেই ত্রাতার ভূমিকায় আসতে হবে জাতীয় দলের প্রথম অধিনায়ক আবদুস সাদেককে। এর আগে সংকট কাটাতে ১৯৮২-৮৫ মেয়াদে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আর দায়িত্ব নিয়েই সাদেক বললেন, ১৯৮২-তে এমন একটা সংকটাপন্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তারপর আমি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। আমি সবাইকে মাঠে নিয়ে আসতে পেরেছিলাম তখন। আশা করি, এবারও ব্যর্থ হবো না। আমি পারব। সবাই মাঠে আসবে। সবাই সহযোগিতা করবে। হকির উন্নতি হবে। ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা স্বাগত জানিয়েছে।
হকির স্বার্থেই তার এমন সিদ্ধান্ত জানিয়ে আবদুস সাদেক বলেন, সবাই চেয়েছে। তা ছাড়া রহমতুল্লাহও তো থাকছেন। তিনি এখন সহ-সভাপতি। এখানে অনেক তরুণ আছেন। অন্তত ১০-১২ জন জাতীয় দলের খেলোয়াড় রয়েছেন। সবাই সবার জায়গা থেকে সহযোগিতা করবেন। আমার মনে হয়, যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল এখন তার সমাধান হয়েছে। এটা হকির জন্য খুবই ভালো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হকিতে স্থবিরতা বিরাজ করছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে খাজা রহমতুল্লাহর পদত্যাগের দাবিতে মোহামেডান, মেরিনার্স, ওয়ারী, ওয়ান্ডারার্স ও বাংলাদেশ স্পোর্টিং গত মৌসুমে লিগ বর্জন করে। পাঁচ ক্লাবের সঙ্গে এবার উষা ক্রীড়া চক্রও বেঁকে বসে। তাই হকির বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে আবদুস সাদেককে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেহেতু একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে তাই হকির বৃহত্তর স্বার্থে আমি আবার দায়িত্ব নিলাম। এখন সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
এদিকে আবদুস সাদেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে লিগ বর্জনকারী ক্লাবগুলো। ক্যাম্পে ফিরেছে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। ফের যেনো হাওয়া লেগেছে হকির পালে।
সুসময়েরই যেনো পূর্বাভাস পাওয়া যায় হকি ফেডারেশনের সভাপতি বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আবু এসরার এর বক্তব্যে। তিনি বলেন, হকির বৃহত্তর স্বার্থে সবার প্রিয় সাদেক ভাইকে (আবদুস সাদেক) সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে, আর খাজা রহমতুল্লাহ এখন সহ-সভাপতি। আশা করি, এখন হকির সংকটও দূর হয়ে গেল।
বাংলাদেশে সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
জেডএম