ঢাকা: গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সৃষ্টিকারী আব্দুল হালিম ২০১১ সালে বল মাথায় রেখে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন। চার বছরের মাথায় আবারো তিনি হাজির।
রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে হালিম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নতুন একটি রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টা চালাবেন। এই রেকর্ডটি গড়ার জন্য অনেক দিন ধরেই কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি।
এবারের রেকর্ড গড়ার ক্ষেত্রেও আব্দুল হালিমকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে দেশের স্বনামধন্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, অটোমোবাইলস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। এর আগে ওয়ালটন গ্রুপের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মার্সেলের ব্যানারে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড নিজের নাম অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন তিনি।
মার্সেলের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১১ সালে বল মাথায় নিয়ে টানা ১৫.২ কিলোমিটার পথ হেঁটে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েন হালিম। এবারও বল মাথায় নিয়ে রেকর্ড গড়বেন। তবে সেটা দ্রুততম সময়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করে। রেকর্ড গড়ার আগে সবার কাছে দোয়া চেয়ে আব্দুল হালিম বলেন, ‘আমি সবার কাছে দোয়া চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমি নতুন বিশ্ব রেকর্ডটি গড়ে বাংলাদেশের নাম আরো উজ্জ্বল করতে পারি। সবার সহযোগিতা ও সহায়তা পেলে পরবর্তীতে আমি আরো কয়েকটি রেকর্ড গড়ার চেষ্টা চালাবো। ’
নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ার বিষয়ে ওয়ালটন গ্রুপের ফার্স্ট সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘আব্দুল হালিম মার্সেলের পৃষ্ঠপোষকতায় এর আগেও একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন। এবার নতুন একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার চূড়ান্ত প্রয়াস চালাবেন তিনি। আগামীকালই তিনি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করবেন। এর আগেও বিশ্ব রেকর্ড গড়ে আব্দুল হালিম বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। আশা করছি আব্দুল হালিম নতুন বিশ্ব রেকর্ডটি গড়ে বাংলাদেশকে আরো একবার বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন। ’
মাথায় বল নিয়ে ১১.১২ কিলোমিটার পথ হেঁটে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন মালয়েশিয়ার ই মিং লু। তার সেই রেকর্ড ভাঙতে ২০১১ সালের ২২ অক্টোবর হালিম ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মাথায় বল নিয়ে টানা ১৫.২ কিলোমিটার হাঁটার ভিডিও দৃশ্য ধারণ করে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জমা দেন। গিনেস কর্তৃপক্ষ ৩ নভেম্বর ভিডিও ফুটেজটি পায়। সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে তারা ২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি হালিমের বিশ্ব রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরে ২৪ জানুয়ারি গিনেসের ওয়েবসাইটে সংযুক্ত হয় হালিমের নাম। বিশ্বজয়ের স্বীকৃতির সনদ হালিম হাতে পান ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি।
আব্দুল হালিমের বাড়ি মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালি ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ফুটবলে আকৃষ্ট হন। ফুটবল নিয়ে তিনি অর্ধশতাধিক আকর্ষণীয় খেলা দেখাতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ২১ নভেম্বর ২০১৫
এমআর