ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

খেলা

সর্বজনবিদিত অভিযোগে গালি দিলেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
সর্বজনবিদিত অভিযোগে গালি দিলেন মেসি লিওনেল মেসি / ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ক্লাব পর্যায়ে লিওনেল মেসি ও বার্সেলোনা আজ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তবে, ক্লাবের ফর্ম দেশের জার্সিতে দেখাতে পারেন না, দেশের জার্সি গায়ে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান না- মেসির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সর্বজনবিদিত।

আর্জেন্টাইন মহাতারকা অতীতে এই ঝামেলায় পড়েননি, তা নয়। পড়েছেন, প্রচুর কথাও শুনতে হয়েছে তাকে। তার দেশের লোকই বলেছে, ক্লাবের হয়ে যতটা মারাত্মক মেসি, দেশের হয়ে ততটা নয়।

কোপা আমেরিকার ৪৪তম আসরে ঘোষণা দিয়ে শিরোপা দেশে নিয়ে যাবে বলেছিলেন মেসি। কিন্তু, ফাইনালে স্বাগতিক চিলির বিপক্ষে ট্রাইব্রেকারে হেরে বসে মেসির আর্জেন্টিনা। ফাইনাল ম্যাচে হারের পর মেসির দাদুও তাকে 'অলস' বলতে ছাড়েননি।

দেশের জার্সিতে কেনো মেসির এতো বদনাম সে প্রসঙ্গে উঠতেই আর্জেন্টিনার টেলিভিশন চ্যানেল টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেশ ক্ষোভ দেখান মেসি।

সেখানে বার্সার প্রাণভোমরা বলেন, ‘আমি খুবই বিরক্ত হই, যখন লোকে আমাকে এ ব্যাপারগুলো বলে সমালোচনা শুরু করে। আরও বেশি বিরক্ত হই তখন, যখন আমাকে আরও বেশি কিছু দেওয়ার জন্য বলা হয়, যখন আমাকে বলা হয় আর্জেন্টিনার জার্সির প্রতি তোমার নিবেদন নেই। ’

এ সময় দেশের জার্সি গায়ে ১০৫ ম্যাচে ৪৯ গোল করা মেসি বলেন, ‘আমরা অনেক ভাগ্যবান যে বিশ্বকাপের মতো আসরে ফাইনালে উঠেছি, কোপা আমেরিকার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলেছি। তবে, দুটো মেজর টুর্নামেন্টেই আমরা শিরোপা হেরেছি। কিন্তু, দুটোর ফাইনালেই আমরা উঠেছিলাম। *** (এ সময় তিনি মেজাজ হারিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন)। আমরা তো আর শেষ ষোলোতে হেরে যাইনি। ’

বার্সার জার্সি গায়ে ৫৩১ ম্যাচে ৪৩৫ গোল করা মেসি আরও বলেন, ‘ফুটবল শুধু বলের খেলা নয়। জাতীয় দলের হয়ে আমাদের বাজে সময় পার হয়েছে, বাজে অভিজ্ঞতাও অর্জন হয়েছে। জার্মানির কাছে আমরা বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরেছি। কারণ, তাদের বেশ কিছু বিশ্বসেরা ফুটবলার ছিল। তবে জয়ের সম্ভাবনা আমাদেরও ছিল। কোপা আমেরিকাতে গিয়েও একই ঘটনা। ফাইনালের দিন আমরা চিলির বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে হেরেছি। ’

টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া সে সাক্ষাৎকারে মেসির জাতীয় সংগীত না গাওয়ার ব্যাপারটিও উঠে আসে। এ সময় মেসি বলেন, ‘আমি খুবই বিরক্ত হই যখন লোকে আপনার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা না করেই কিছু বলে বসে। আমি কোনো উদ্দেশ্য মাথায় নিয়ে জাতীয় সংগীত গাইব না। জাতীয় সংগীতকে অনুভব করার জন্য, তাই এটা আমার গাওয়ার প্রয়োজন নেই। জাতীয় সংগীত আমাকে ছুঁয়ে যায়। অনুভূতি প্রকাশের ব্যাপারটা একেক জনের একেক রকম হয়ে থাকে। ’

২০০১ সালে জন্মস্থান আর্জেন্টিনা ছেড়ে মেসি পরিবারের সঙ্গে স্পেনে পাড়ি জমান। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।