ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেপাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেপাল ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: গত ২৫ এপ্রিল নেপালের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের জন্য স্থগিত হয় বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল দলের ফাইনাল ম্যাচ। স্থগিত হওয়া ম্যাচটিই এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নতুন নির্ধারিত দিন রোববার (২০ ডিসেম্বর) কাঠমান্ডুর দশোরথ স্টেডিয়ামে।



স্বাগতিক নেপাল ও সফরকারী বাংলাদেশের মধ্যকার শিরোপা নির্ধারণী এই ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া ১১টায়।

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র দিয়ে মিশন শুরু করলেও পরের ম্যাচে ভুটানকে ১৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশের যুবতীরা। গ্রুপপর্বের ধারাবাহিতকায় সেমিফাইনালেও অজেয় ছিল কৃষ্ণা সরকারের দল। গ্রুপপর্বে ভুটানের বিপক্ষে এমন দাপুটে জয়ের পর সেমিফাইনালের ম্যাচে ইরানকে ২-০ গোলে হারিয়ে উঠে যায় ফাইনালে।

আর স্বপ্নের ফাইনালে উঠার পর এখন  লাল-সবুজের যুবতীদের  চোখে শুধুই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন।

গত ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে তেমন কিছুরই আভাস দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলনেত্রী শ্রীমতী কৃষ্ণা রানী সরকার, ‘এপ্রিলে নেপাল যাবার আগে বলেছিলাম ফাইনাল খেলবো, তাই হয়েছে। এখন বলছি চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফিরবো। ’ আর এই কাজটি করতে পারলে নতুন করে লেখা হবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল দলের ইতিহাস। কেননা এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ তে এই পর্যন্ত শিরোপার দেখা পায়নি বাংলাদেশ।

শিরোপা জয়ের দৌড়ে পিছিয়ে থাকবেনা স্বাগতিক নেপালও। কারণ, গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচেই তারা থলিতে পুড়েছে দুর্দান্ত এক একটি জয়। প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের যুবতীদের বিপক্ষে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জিতলেও পরের ম্যাচেই ১০-০ এর গোল বন্যায় ভাসিয়েছে মালদ্বীপকে। আর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৮-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে উঠে সেমিফাইনালে। সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল শক্তিশালী ভারত। তাতে কী? গ্রুপপর্বে অদম্য এই দলটি সেমিফাইনালে শক্তিশালী  ভারতকেও ১-০ তে হারিয়ে নিশ্চিত করে স্বপ্নের ফাইনাল।

গ্রুপপর্ব থেকে শেষ চার পর্যন্ত এমন দুর্দান্ত যাদের পারফরমেন্স, তারা ফাইনালেও যে প্রতিপক্ষকে ছেড়ে কথা বলবেনা, সে কথা বলার আর অপেক্ষা থাকছে কই?

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫
এইচএল/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।