অথচ বিগত আসরগুলোতে টুর্নামেন্ট শুরুর আগ থেকেই দলগুলোর সময় কাটে অনুশীলন-ব্যস্ততায়। মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম ভরে থাকে ক্রিকেটারদের মিলন মেলায়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবারের বিপিএল অয়োজন। নেই কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে কয়েক মাস আগে থেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে আলোচনা করে আসছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বিভিন্ন দাবি-দেওয়ার পরিপ্রক্ষিতে শেষ পর্যন্ত বিসিবি সিদ্ধান্ত নেয় যে, এবারের বিপিএল নিজ তত্ত্বাবধানেই আয়োজন করবে বিসিবি এবং তা বঙ্গবন্ধুর নামে করা হবে।
যেই কথা সেই কাজ। শেষ পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বাদ দিয়েই নতুন ৭টি দল গঠন করে বিসিবি। প্রত্যেক দলে একজন করে বোর্ড পরিচালককে দায়িত্ব দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় প্লেয়ার ড্রাফট।
প্রতিবারই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা দল গঠন করে বিপিএলে অংশ নেয়। তাই প্লেয়ার ড্রাফটের পর থেকেই তাদের দল নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রত্যাশায়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা—কে কাকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলতে পারে তা নিয়ে। তবে এবার সব দলই গঠন করেছে বিসিবি। তাই শিরোপা যে-ই জিতুক; বিসিবির কাছেই থাকছে ট্রফি। তাই এবারের বিপিএল কতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে এই প্রশ্ন সময়ের কাছেই তোলা থাক।
বিপিএল শুরু হলেই যেন বাড়তি একটা উন্মাদনা কাজ করে সবার মাঝে। দলগুলোর সমর্থকদের মাঝেও আগ্রহ কাজ করে। তবে এবার বিপিএল শুরুর ০৮ দিন বাকি থাকলেও মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে এখনও বিপিএলের আমেজ তৈরি হয়নি। যেটা বিগত আসরে দেখা যায়নি। তবে কি বিপিএল ক্রিকেট তার উন্মাদনা হারালো?
আপাতত মিরপুর প্রস্তুত হচ্ছে বিপিএলের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ০৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু বিপিএলের। বলিউড তারকা সালমান খান-ক্যাটরিনা কাইফ সহ বাংলাদেশের মমতাজ এবং আরও নামী-দামি শিল্পীরা মঞ্চ মাতাবেন এবারের বিপিএলের উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
আরএআর/ইউবি