প্রখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী লরেন ব্যাকাল। গত ১২ আগস্ট মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের ফলে মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে নিজ বাড়িতে ৮৯ বছর বয়সে মারা যান হলিউডের স্বর্ণযুগের এই অভিনেত্রী।
‘টু হ্যাভ এন্ড হ্যাভ নট’ (১৯৪৪)
এটা ছিলো ১৯ বছর বয়সী লরেনের প্রথম ছবি। আর এই ছবির মাধ্যমেই পরিচয় হয় হাম্ফরি বোগার্টের সঙ্গে। প্রেম হয় দুজনের অতপর বিয়ে। যদি এই টুকুই যথেস্ট না হয় ছবিটিকে মনে করার জন্য তাহলে ছবিতে লরেনের একটি সংলাপ তো অবশ্যই মনে করিয়ে দেবে। ‘তুমি জানোনা কিভাবে শিষ দিতে হয়? তোমার ঠোট দুটো একসঙ্গে করে গোল করে নাও। ’ পরিচালক হাওয়ার্ড হকস ছবিতে দক্ষতার সঙ্গে এই জুটির রসায়ন তুলে ধরেছিলেন।
‘দ্যা বিগ স্লিপ’ (১৯৪৬)
ব্যাকাল ও বোগার্ট হাওয়ার্ড হকসের প্রথম ছবিতে প্রেমে পড়েন আর দ্বিতীয় এই ছবিতে কাজ করেছিলেন স্বামী স্ত্রী হয়ে। এই ছবিটি তৈরি হয়েছিলো মার্কিন উপন্যাসিক রেমন্ড শ্যান্ডলারের ১৯৩৯ সালের একটি রহস্যময় গল্পকে উপজীব্য করে। ছবিতে একটি ভয়ঙ্কর বিভ্রান্তিকর চক্রান্ততে অভিনয় করে বেশ পশংসিত হয়েছিলো এই দম্পতি।
‘কী লার্গো’ (১৯৪৮)
এই ছবিতেও লরেনের চরিত্রটি কালজয়ী এবং তার সঙ্গে জুটি হিসেবে ছিলেন হাম্ফরি বোগার্ট। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন জন হাস্টন। তার ‘কী লার্গো’ ছিলো ব্যাকাল এর সঙ্গে করা চার নম্বর ছবি। এর আগের ছবির নাম ছিলো ‘ডার্ক প্যাসেঞ্জার’। এই ছবিটি মুলত ১৯৮১ সালে বারটি হিগিনসের ‘কী লার্গো’ শিরোনামের গানের অনুপ্রেরনায় নির্মিত হয়েছিলো।
‘হাউ টু ম্যারি এ মিলিয়নিয়ার’ (১৯৫৩)
ছবিটি পুরোদস্তুর একটি হাসির ছবি। এতে ব্যাকালে সহ শিল্পীরা হলেন ম্যারিলিন মনরে ও বেটি গ্রাবেল। এই তিনজন ছবিতে মডেলের চরিত্রে অভিনয় করেন যাদের উদ্দেশ্য হলো ধনী ব্যাক্তিকে বিয়ে করা। ছবির একটি জনপ্রিয় সংলাপ হলো, ‘তোমার কি মনে হয়না যে সে একটু বয়স্ক শ্রেনীর?’ তখন ব্যাকালের উত্তর, ‘সম্পদশালীরা কখনও বুড়ো হয়না?’
‘ডিজাইনিং ওম্যান’ (১৯৫৭)
অন্যধরনের একটি প্রেমের ছবি এটি। এই ছবিতে ব্যাকালের সহশিল্পী ছিলেন গ্রেগরি পিক। ছবিতে এই অভিনেত্রী একজন ফ্যাশন ডিজাইনার আর পিক তার স্বামী যিনি একজন ক্রীড়া সাংবাদিক। ছবিটি বেশ ভালোই ব্যবসা করেছিলো। কিন্তু এসময় ব্যাকাল মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন। কেননা ছবিটি মুক্তির কয়েক মাস আগেই হাম্ফরি বোগার্ট ক্যান্সারে মারা যান।
‘অ্যাপলস’ (১৯৭০)
সংগীত ভিত্তিক এই ছবিতে ব্যাকালের চরিত্রের নাম হলো মার্গো কানিং। এ চরিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য টনি পুরস্কার জিতেছিলেন।
‘মার্ডার অন দ্যা ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস’ (১৯৭৪)
ছবিতে ব্যাকাল একজন বৃদ্ধা বিধবার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবিতে সকলেই সন্দেহ করেন জনপ্রিয় সমাজ সেবক অগাথা ক্রিসটির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিলো।
‘ওম্যান অব দ্যা ইয়ার’ (১৯৮১)
ব্যাকাল তার দ্বিতীয় টনি পুরস্কারটি পেয়েছিলেন এই চবিতে অভিনয় করে। এই ছবিটিও সংগীত ভিত্তিক। ১৯৪২ সালের এই একই নামের ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ক্যাথেরিন হিপবার্ন ও স্পেন্সার ট্রেসি।
‘দ্যা মিরর হ্যাজ টু ফেস’ (১৯৯৬)
এই ছবিতে একজন জঘন্যতম মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। আর সমর্থক অভিনেত্রী হিসেবে অস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ছবিতে তার চরিত্রের নাম ছিলো বারব্রা স্ট্রাইজেন্ড।
‘ডগভিল’ (২০০৩)
লার্স ভন ট্রায়ার পরিচালিত ছবিটি মুলত একটি মহিলা কেন্দ্রীক ছবি। ছবিতে ব্যাকালের সহশিল্পী ছিলেন নিকোল কিডম্যান। ব্যাকাল যে কিনা হতাশ জীবন যাপন করেন। একসময় সবকিছু ছেড়ে একটি ছোট্ট শহরে গিয়ে আত্মগোপন করেন।
বাংলাদেশ সময় : ০১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৪