ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

গায়িকাদের কার কোথায় যেতে বারণ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৪
গায়িকাদের কার কোথায় যেতে বারণ মাইলি সাইরাস

নামীদামী গায়ক-গায়িকা তারা। যে দেশেই যাকনা কেন তাদের আদর যত্নের কমতি না হওয়াটাই স্বাভাবিক।

অথচ বিভিন্ন দেশে নাকি তারাই নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত। আসুন দেখে নেই কোন দেশ কোন পপ গাইয়্যের নামের সঙ্গে ‘ডু নট এন্টার’ ট্যাগ যুক্ত করে দিয়েছে।

মাইলি সাইরাস
গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর মাইলি সাইরাস ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রে একটি শো করেছিলেন। পরবর্তীতে সেই শো নিষিদ্ধ করা হয়। কারন শোতে মাইলি এতটাই বাজে আচরন করেন যে সেটা সেখানকার সুনীতি ও আইন বিরোধী। ডমিনিকান এর আইন অনুযায়ী এধরনের আচরন শাস্তিযোগ্য বলে তার শোটি নিষিদ্ধ বলে ঘোষনা করা হয়।

বিয়ন্সে নোলস
২০১৩ সালে বিয়ন্সে পিরামিডে নিষিদ্ধ হন। সেখানকার এক প্রত্নতত্ববিদ অভিযোগ করেন বিয়ন্সে খুব খারাপ আচরন করেছিলেন তার সঙ্গে। ২০০৯ সালে মালয়েশিয়ার একটি গ্রুপ তার বেশভুষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলো। পরে সেখানে নিষিদ্ধ হওয়ার ভয়ে সেখানকার একটি শো বাদ দিয়ে দেন বিয়ন্সে।

কেশা
ব্রিটিশ সংগীত শিল্পী কেশা ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর স্টেডিয়ামে একটি শোতে নিষিদ্ধ হন। কারন সেখানকার আয়োজকরা মনে করেছিলেন অনুষ্ঠানে কেশার উপস্থিতি ও তার পোশাক পরিচ্ছদ তাদের ধর্মীয় ভাবমুর্তিতে আঘাত করতে পারে। কেননা দেশটির মানুষজন তাদের সম্ভ্রম ও পোশাক পরিচ্ছদের নিয়ম কানুনের প্রতি যথেস্ট অনুগত।

প্যারিস হিলটন
গায়িকাদের মধ্যে অন্যতম সম্পদশালী গায়িকা প্যারিস হিলটন ২০১০ সালে জাপানে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। সেখানে তাকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছিলো। কেননা সেসময় হিলটন ল্যাস ভেগাসে মাদকদ্রব্যের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। এরপরেই টোকিও থেকে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

স্নুপ ডগ
একজন কু-খ্যাতি সম্পন্ন গায়ক স্নুপ ডগ। ২০১২ সালে নরওয়েতে গাজা নিয়ে জোড়পূর্বক প্রবেশের চেষ্টা চালালে তাকে সেখানে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। এর আগে ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। কেননা সেখানে তিনি বিমানবন্দর একটি দোকানে ভাংচুর করেছিলেন।

জে-জি
২০০৬ সালে জে-জি চীনে নিষিদ্ধ হন। কারন তিনি যে গান উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন তার ভাষাগুলো চীনাদের মতে নাকি অভদ্র ও অশ্লীল ছিলো। তারা জে-জিকে বলে যে গানটি খুবিই আপত্তিকর। এরপর তাকে জোড়পূর্বক শো বাতিল করানো হয়। এই শোটি ছিলো তার জীবনের সর্বপ্রথম শো।

ম্যাডোনা
পপ সম্রাজ্ঞী ম্যাডোনার একটি কাজ রাশিয়ায় ২০১২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়। এর কারন ছিলো এটাই যে ম্যাডোনা ‘পুসি রিওট’ নামক ব্যান্ডকে সমর্থন করে। এরপর রাশিয়া সিদ্ধান্ত নেয় যে তিনি সেখান থেকে কোনো অর্থ উপার্জন করতে পারবেননা। এছাড়াও ২০০৪ সালে ম্যাডোনা মিশরেও নিষিদ্ধ ঘোষিত হন।

লেডি গাগা
২০১২ সালে লেডি গাগারে একটি শো ইন্দোনেশিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। কারন উক্ত দেশের ইসলামিক সংস্থা এই শোয়ের প্রতি আপত্তি জানিয়েছিলো। এমনকি সেদেশের জনগন গাগার ইন্দোনেশিয়া ভ্রমন নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলো। আর সরকারের ভয় ছিলো যে এই শো করার কারনে এই আন্দোলন চরম মাত্রায় বেড়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময় : ০১০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ