হলিউড তারকাদের এমন কিছু জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব আছে যাদের নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রানী বা কীট পতঙ্গের সঙ্গে। আসুন দেখে নেয়া যাক এমনই কিছু কীট পতঙ্গ ও বস্তুর এক ঝলক।
মিক জ্যাগার
ডক্টর এলেন মিলার নামে একজন নৃতত্ত্ববিদ ১৯ মিলিয়ন বছর আগের একটি আফ্রিকান ফসিল খুজে পান। তার মতে এই জড় বস্তুটির সম্মুখের ভাগ জনপ্রিয় গায়ক মিক জ্যাগারের ঠোঁটের মতো দেখতে। তাই গায়কের নামে এর নামকরন করা হয়েছে। পিটিআই রিপোর্ট অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘জ্যাগারম্যারিক্স নায়দা’। যার অর্থ হলো জ্যাগার এর জল পরি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যতোই আমরা গবেষনা করছি জ্যাগার ও এই ফসিলের মাঝে ততই মিল খুজে পাচ্ছি, আর মিলটা বিশেষ করে গায়কের ঠোঁটের দিকেই। ডক্টর এলেন মিলার বলেন, ‘আমি জ্যাগারের ‘রোলিং স্টোন’ ব্যান্ডের খুব ভক্ত। আমাকে অনেকেই বলেছিলো অ্যাঞ্জেলিনা জোলির নামে এর নাম দিতে কারন তার ঠোঁটটিও চমৎকার। কিন্তু না এর নাম আমি জাগারের সঙ্গেই মিলিয়ে দিয়েছি। ’
আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার
হলিউড অভিনেতা ও ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের নামে নাম দেয়া হয়েছে একটি পতঙ্গের। ২০০২ সালে ক্যারাবিড প্রজাতির এই পতঙ্গের নাম রাখা হয় ‘শোয়েনেজগারি’। নামকরনের উদ্দেশ্য হলো এই প্রজাতির পোকার বাহুর ঊর্ধাশের সম্মুখের বৃহৎ মাংসপেশি মনে করিয়ে দেয় শোয়ার্জনেগারের বাহুর মাংসপেশির কথা।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির নামে রাখা হয়েছে ট্রাপডোর প্রজাতির একটি মাকড়শার নাম। ‘অ্যাপটোস্টিচাস অ্যাঞ্জেলিনাজোলিয়া’ নামের এই মাকড়শা বিভিন্ন স্তরে জাল তৈরি করে এরপর শিকাড়ের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। শিকাড় ফাঁদে পড়া মাত্র ঝাপিয়ে পড়ে ও তার বিষাক্ত হুলের আঘাতে ঘায়েল করে। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জাতিসংঘের হাই কমিশনের হয়ে শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য কাজ করেন। এই কাজের জন্য আর্বান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্যাসন বন্ড ক্রিস্টেন্ড জোলিকে সম্মানস্বরুপ মাকড়শাকে তার নাম দেন।
কেট উইন্সলেট
হলিউড অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট যিনি ‘টাইটানিক’ ছবিতে তার অসাধারন অভিনয় দিয়ে আমাদের সবার মন কেড়েছিলেন। এই অভিনয়ের জেরেই তার নামে একটি পতঙ্গের নামকরন করার মাধ্যমে সম্মাননা জানানো হয়েছিলো। পতঙ্গবিদ টেরি এরউইন এই পতঙ্গের নাম ‘আগ্রা কেটউইন্সলেট’ রেখে ঘোষনা করেছিলেন ‘টাইটানিক’ ছবিতে উইন্সলেটের অসাধারণ অভিনয়ের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া। ছবিতে যেমন তাকে নান সঙ্কুলতার মুখোমুখি হতে হয়েছিলো ঠিক তেমনি এই পতঙ্গটিও জঙ্গলে বিন্নি প্রতিকুলতার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকে।
বিয়ন্স নোয়েলস
২০১২ সালে একজন অস্ট্রেলিয়ান গবেষক এই বিলুপ্ত প্রায় অশ্ব মাছির সন্ধান পান। পরবর্তীতে গায়িকা বিয়ন্স নোয়েলসের নামে রাখা হয় এই মাছির নাম। এর নাম ‘স্ক্যাপিটা বিয়ন্সিয়া’। কারন এই মাছির পেটের দিকে সোনালী রঙা লোমগুলো আর বিয়ন্সের চুলের রঙ ঠিক একইরকম।
হ্যারিসন ফোর্ড
একটি মাকড়শা ও একটি পিঁপড়ার নামকরন করা হয়েছে অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ডের নামে। মাকড়শার নাম ‘ক্যালপোনিয়া হ্যারিসনফোর্ডি’ এবং পিঁপড়ার নাম ‘ফিডোলে হ্যারিসনফোর্ডি’। হ্যারিসনের জীব জন্তুর প্রতি উদার মানষিকতা বিজ্ঞানীদের কাছে তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। আর তারা চান এই দুই পতঙ্গের পর আরো নতুন প্রজাতির পতঙ্গের নাম তার নামে করতে। এমনকি অভিনেতা সান দিয়েগো ইউনিয়ন ট্রিবিউন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন তার নামে একজন বিজ্ঞানী একটি প্রজাপতির নামকরন করতে চান।
বাংলাদেশ সময় : ১৩১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৪