সোহানা সাবাকে এমন রূপে কখনো দেখেনি কেউ। দূর্গারানী নাম নিয়ে ‘বৃহন্নলা’য় এসেছেন তিনি।
সোহানা সাবার এমন ভিন্নরূপ ছাড়াও ‘বৃহন্নলা’য় আছে আরও একটি বিষয়। ফেরদৌস-সাবা জুটি। ‘আয়না’র পর দীর্ঘ ৯ বছর পর আবারও আসছেন তারা। সে হিসেবে সবার একটা আকর্ষণ তো আছেই। ফেরদৌস-সাবা দু’জনও উচ্ছ্বসিত ব্যাপারটা নিয়ে। এতদিন একসঙ্গে অভিনয় না করলে কি হবে? পর্দার বাইরে তাদের সম্পর্কটা কিন্তু অনেক গভীর। সাবা বললেন, ‘ফেরদৌসের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেকটা দোস্তি টাইপের। আমাদের সব সময় যোগাযোগ ছিলো। এ সমস্ত অনেকটা টক-ঝাল-মিষ্টি। সে আমাকে অনেক জ্বালায়। আমি বিরক্ত হই। খুবই মজাদার সম্পর্ক। ’
এ সম্পর্ক পর্দায় কতখানি ফুটে উঠেছে? ‘বাস্তবের চেয়েও চলচ্চিত্রে সেটা গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। ’- বলা সময় সাবার কণ্ঠ দুলে যায় অদ্ভুত দৃঢ়তায়।
বলা চলে, ‘বৃহন্নলা’র কাহিনী মূলে রয়েছে একটি গাছ। সুদীর্ঘ বছর ধরে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা এই গাছ গ্রামের মানুষের সব আনন্দ-বেদনা-অপরাধের সাক্ষী। শুটিংয়ের আগে এই গাছ খুঁজে পাওয়া নিয়ে কম ধকল সহ্য করতে হয়নি পরিচালকে। কয়েক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন। পরিচালক মুরাদ পারভেজের কল্পনায় দেখা সেই গাছ অবশেষে পাওয়া গেছে রাজবাড়িতে। সেই বৃহন্নলা গাছ।
ছবিটিতে পোশাক পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিলেন সোহানা সাবা নিজেই। ফ্যাশন ডিজাইনে ¯œাতক পড়াশোনা করেছেন তিনি। এর আগে ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ছবিতেও এ কাজের দায়িত্ব ছিলো তার উপরেই। বিশ্বাস ছিলো, তিনি পারবেন। বলছেন, ‘পোশাক পরিকল্পনা নিয়ে খানিকটা উদ্বেগে ছিলাম। হিন্দু নি¤œ বর্ণ, উচ্চ বর্ণ, মুসলিম- অনেক চরিত্রই ছিলো আমার আশেপাশে। তাদের পোশাক ডিজাইন করতে গেলে, অনেক কিছুই জানতে হয়। এক্ষেত্রে মুরাদ আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। ’
অবশেষে ‘বৃহন্নলা’ মুক্তি পাচ্ছে। ১৯ সেপ্টেম্বর হলে আসছে ২০১০ সালের অনুদানপ্রাপ্ত এ ছবিটি। এর আগে সিঙ্গাপুরে দর্পন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার জিতেছে এটি। ‘বৃহন্নলা’র জন্য শুভকামনা।
বাংলাদেশ সময় : ২৩৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৪