ছোটবেলায় সুগৃহিনী হতে চাইতেন নুসরাত ফারিয়া। তবে বেড়ে ওঠার পর বুঝতে পারেন, সুগৃহিনীর সংজ্ঞা।
আরটিভির ‘ঠিক বলছেন তো’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপস্থাপনায় পথচলা শুরু করেন নুসরাত ফারিয়া। এরপর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘সুনিধি চৌহান কনসার্ট’ উপস্থাপনের মাধ্যমে নজর কাড়েন তিনি। তার ঝুলিতে আছে আরটিভির ‘লেট নাইট কফি’, এনটিভির ‘স্টাইল অ্যান্ড ট্রেন্ড’, এটিএন বাংলার ‘ট্রেন্ড’, এসএ টিভির ‘লাইভ স্টুডিও’, জিটিভির ‘ওয়ার্ল্ড অব গ্ল্যামার’ এবং রেডিওতে ‘লার্ভ বার্ড’ অনুষ্ঠানগুলো উপস্থাপনার অভিজ্ঞতা।
উপস্থাপনার পাশাপাশি হাইয়ার এসি, সেন্টার ফ্রেশ, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি, এলিট রাঙা মেহেদীসহ বেশকিছু পণ্যের বিজ্ঞাপনচিত্রে দেখা গেছে নুসরাত ফারিয়াকে। এবার তাকে চলচ্চিত্রে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। সব ঠিক থাকলে রেদওয়ান রনির ‘মরিচীকা’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হতে পারে তার। চলচ্চিত্রের জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছেন তিনি। বড়পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে তার কথা, ‘বড়পর্দায় অভিনয় করবো ভাবলেই ভালো লাগে। যদিও ‘মরিচীকা’র কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে, তবুও কাজটার জন্য অপেক্ষা করছি। ’
এরই মধ্যে আরও কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। তবে ‘মরিচীকা’ দিয়েই রূপালি পর্দায় যাত্রা শুরু করতে চান তিনি। তাই আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে রাজি।
উপস্থাপনা আর বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করলেও টিভি নাটক নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই নুসরাত ফারিয়ার। তার সোজাসাপটা কথা, ‘ভালো গল্প হলে হয়তো বছরে ২-১টা নাটক করতে পারি। তবে আপাতত এ নিয়ে ভাবছি না। আমার ভাবনায় এখন শুধুই ‘মরিচীকা’। শিগগিরই ছবিটির দৃশ্যধারণ শুরু হওয়ার কথা। এখানে একজন আলোকচিত্রী সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করবো। ’ শত শত মানুষের সামনে, কোটি কোটি দর্শকের চোখ থাকা টিভি ক্যামেরায় নুসরাত ফারিয়া যে এতো সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন, তার পেছনে আছে ২০০১ সালে বিটিভির ‘জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায়ও বরাবরই মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। শহীদ বীরউত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫, রাজউক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবিতে বিবিএ ষষ্ঠ সেমিস্টারে পড়ছেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে উপস্থাপনা আর অভিনয়ের বাইরে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার ইচ্ছে আছে তার। কন্যা রাশির জাতিকা নুসরাত ফারিয়া দুই বোন, এক ভাইয়ের মধ্যে মেজ। বাবা মাজহারুল ইসলাম পেশায় ব্যবসায়ী, মা ফেরদৌসী পারভীন শিক্ষকতা করেছেন অনেকদিন। বাংলানিউজ কার্যালয়ে বসে শুরুতে ছোটবেলার গল্প বলেছিলেন নুসরাত ফারিয়া। আড্ডার শেষ ভাগেও সেই প্রসঙ্গই আনা হলো। সুগৃহিনী হওয়ার প্রাথমিক ধাপ ‘বিয়ে’। এ কথা শুনেই ফারিয়া হেসে বলে ফেললেন, ‘২৫ বছর হলেই বিয়ে করব। তাই আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময় : ২২০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৪