মমর ভাবনাগুলো আগের চেয়ে পরিপক্ক হয়েছে। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো পরোক্ষভাবে সেই বার্তাই দেয়।
বাংলানিউজের তারার ফুলের আমন্ত্রণে কয়েকদিন আগে সকালে এসেছিলেন মম। ছোট বাক্সের কাজ নয়, বড় পর্দার দুটি ছবিকে সামনে রেখেই তাকে ডাকা। এর মধ্যে ৫ ডিসেম্বর আসছে ‘প্রেম করবো তোমার সাথে’। আর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাবে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’।
চলচ্চিত্রে এবারই যে প্রথম কাজ করলেন মম, তা নয়। তার শুরুটাই হয়েছিলো রূপালি পর্দা দিয়ে। সেটা সাত বছর আগের গল্প। ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার বিজয় মুকুট জিতে কাজ করেন হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ ছবিতে। এর সুবাদে তার ঘরে এসেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি।
শুরুতেই এতো বড় পুরস্কার পাওয়ার নজির অভিনেত্রীদের বেলায় হাতেগোনা। তবুও মাঝে ছোট পর্দা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন মম। অভিনয় করে গেছেন নাটক-টেলিছবিতে। বড়পর্দা থেকে একরকম দূরেই ছিলেন। কেনো? তার উত্তর, ‘প্রথম ছবিতে কাজ করার পর পাঁচ-সাতটি ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। সেগুলো আমার পছন্দ ছিল না। পরে দেখলাম আমার ফিরিয়ে দিয়ে ছবিগুলো দর্শকরাও তেমন গ্রহণ করেনি। সত্যি বলতে আমার আত্মউপলব্ধি ছিলো। তাই মনে হয়েছে আমার আরও তৈরি হওয়া দরকার। এজন্য সময় নিয়ে চলচ্চিত্রে পাকাপোক্ত হওয়ার মানসিকতা লালন করেছি। ’
সাত বছর বিরতি দিয়ে ‘প্রেম করবো তোমার সাথে’ ছবিটি হাতে নিয়ে আবার চলচ্চিত্রাঙ্গনে আলোচিত হন মম। এর মাধ্যমে নাচ-গান-মারপিটে সাজানো চেনা বাণিজ্যিক ছবিতে এবারই প্রথম কাজ করলেন তিনি। এতে তার সহশিল্পী আনিসুর রহমান মিলন ও জায়েদ খান।
নতুন বছরে আসবে মমর আরেক বাজি- ‘ছুঁয়ে দিলে মন’। শিহাব শাহীন পরিচালিত এ ছবিতে নতুন আঙ্গিকে দেখা যাবে তাকে। তিনি বললেন, ‘এর কস্টিউম, গল্প সবই ভিন্ন। এখানে আমার চরিত্রের নাম নীলা। মেয়েটা মেডিকেল ছাত্রী। ছবিটি আগাগোড়া প্রেমময়। প্রেমে ডুবো, প্রেমে ভাসো, প্রেমে বাঁচো- এটাই এর উপজীব্য। এতে আমার সহশিল্পী আরিফিন শুভ। ’
‘প্রেম করবো তোমার সাথে’ এবং ‘ছুঁয়ে দিলে মন’- এ দুটি ছবির ওপর নির্ভর করছে মমর রূপালি ভবিষ্যৎ। তার সাফ কথা, ‘এসিড টেস্টের মতো এই দুটি ছবি দিয়ে নিজেকে পরীক্ষায় রেখেছি। দর্শক সাড়া পেলে কাজ করবো, না হলে টা-টা!’
বিনোদনের আলো ঝলমল আঙিনায় অনেকের মতো মমর পথচলাও পুরোপুরি মসৃণ ছিলো না। সুন্দরী প্রতিযোগিতার পুরস্কার জেতার পরও নয়। তার সেসব অভিজ্ঞতা নিয়ে দুটি ছবির গল্প লেখা যাবে! আবার জাতীয় পুরস্কার পেতে চান কি-না তা জানার চেষ্টা করলে তার মুখে শোনা গেলো, ‘আমার পুরস্কার কিন্তু দর্শক। আমি দর্শকের জন্য কাজ করি। দর্শকের ইতিবাচক সাড়া পেলেই আমি খুশি। দর্শক ও নিজের সন্তুষ্টির কথা ভেবে আমার ভালোলাগার জায়গাটা পূর্ণ হলেই কেবল কাজ করেছি। এ ক্ষেত্রে আমি সার্থক। কাজটাকে ছোট করে বড় হইনি। কাজটা ভালোবেসে করেছি। এটাই আমার তৃপ্তি। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৪