অভিনয়ের প্রতি মুনিয়ার আগ্রহ শৈশব থেকে। টিভিতে গান দেখলেই পোশাক পাল্টে নাচানাচি করতেন।
মুনিয়ার অভিষেক হয়েছে প্রতিদিনের ধারাবাহিক নাটক ‘অগ্নিপথ’ দিয়ে। এর পরিচালক তন্ময় তানসেনের কাছে তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। এ পর্যন্ত বেশকিছু ধারাবাহিক ও একক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এ তালিকায় রয়েছে ‘নীল রঙের গল্প‘, ‘মুম্বাসা’, ‘উজান গাঙের নাইয়া’, ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে’, ‘আকাশচুরি’, ‘চুম্বক’, ‘ক্যারিয়ার’, ‘আলো ছায়া’, ‘ভোরের আলো’। এখন প্রচার হচ্ছে ‘থ্রি কমরেডস’, ‘নীল আকাশের কতো রঙ’, ‘অফ স্ক্রিন’, ‘মায়ার খেলা’, ‘শোধ’ নাটকগুলো।
নাটকের বাইরে প্রাণ মিল্ক, বিএসআরএম, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী, ইফাদ বিস্কুট, সজিব নুডুলসের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন মুনিয়া। কাজ করেছেন এয়ারটেলের ফটোশুটে। এখন বিভিন্ন নাটকআর বিজ্ঞাপনের কাজ করেই সময় কেটে যায় তার।
অভিনয়ের বাইরে ব্রিটিশ আমেরকিান টোবাকোতে ইন্টার্নশিপ করছেন মুনিয়া। নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন তিনি। তবে ক্যারিয়ার গড়তে চান অভিনয়ে। তার ভাষ্য, ‘অভিনয় ছাড়তে পারবো না। এটা মনে হয় আমার রক্তে মিশে গেছে। মায়ের উৎসাহ ছিল সবচেয়ে বেশি। তার অনুপ্রেরণায় কাজটা করতে পারছি। পেশা হিসেবে অভিনয়ই আমার প্রথম পছন্দ। কাজ করার ইচ্ছে আছে নাচ-গান নির্ভর চলচ্চিত্রেও। ’
বাংলানিউজের কার্যালয়ে এসে আলাপচারিতায় মুনিয়া জানালেন, ঢাকায় বেড়ে উঠেছেন তিনি। বাবাকে চিরতরে হারিয়েছেন অনেক আগেই। তার কোনো ভাইবোনও নেই। মা হাসিনা আক্তারই এই মেয়েটির কাছে সব। জীবনে বন্ধু নির্বাচন করতে গিয়ে বারবার ভুল করার কথা স্বীকার করলেন। জীবনসঙ্গী হিসেবে
তার স্বপ্নের পুরুষটা কেমন হবে? কৌশলী উত্তরে তিনি বললেন, ‘এখনও তাকে পাইনি। আপাতত আমার ভাবনায় এখন কাজ। আমার অভিনয় দেখে যেন সবার মুখে শুনি, এই মেয়েকে দিয়ে হবে। শুটিং থাকলেই আমার মনটা ভালো হয়ে যায়। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৪