মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রের তালিকা সাজাতে গেলে সবার ওপরেই থাকে ‘ওরা ১১ জন’। এটি পরিচালনা করেছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম।
চাষী নজরুল ইসলামকে নিয়ে চম্পার কথা
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য নিয়ে চাষী ভাইয়ের পরিচালনায় ‘বিষবৃক্ষ’ ছবিতে কাজ করেছি প্রথম। এ ছবিতে ববিতা আপা আর রাজ্জাক ভাই ছিলেন আমার সহশিল্পী। ছবিটির কুন্দনন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। তখন আমার বয়সও কম ছিল। তার সঙ্গে কাজ করে অস্বস্তি বা ভয় লাগেনি। চাষী ভাই প্রতিটি দৃশ্য হাতেকলমে শিখিয়েছিলেন। বঙ্কিমের লেখা ছবি তো চাট্টিখানি কথা না। আমার চেয়ে অন্য ভালো কাউকে নিতে পারতেন তিনি। তারপরও তিনি আমাকে নিয়েছিলেন এবং সেই ছবিটি করতে গিয়ে আমি অনেক কিছু শিখেছি।
এরপর চাষী ভাইয়ের পরিচালনায় ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ ছবিতে কাজ করেছি। এ ধরনের সুন্দর গল্প ও শ্রুতিমধুর গানের ছবি এখন খুব কমই হয়। তার ‘শাস্তি’তে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি আমি।
চাষী ভাই আমার শ্বশুরবাড়ির দিক দিয়ে (বিক্রমপুরে) আত্মীয় বলা যায়। আমার সম্পর্কে ভাসুর হন বলে জানতাম। আমাকে অনেক স্নেহ-মমতা করতেন ছোটবেলা থেকে। তিনি খুব স্নেহশীল মানুষ। তার ছবির দৃশ্যধারণ দেখতে এসে হঠাৎ তাকে জোরে কথা ও চিৎকার করতে দেখলে বোঝা যায় না তিনি আসলে কেমন মানুষ। তার মনটা শিশুসুলভ। তিনি ইতিবাচক একজন মানুষ। তাকে কখনও পরনিন্দা বা পরচর্চা করতে দেখিনি।
গত কোরবানির ঈদেও চাষী ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। কার মেয়েদের (আন্নি, মান্নি) সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। মগবাজারে গেলেই তাদের বাড়িতে যাই। ভাবীও অনেক স্নেহ করতেন আমাকে। তাদের বাসায় কতো যে খেয়েছি তার হিসাব নেই।
চাষী ভাইকে হাসপাতালে দেখতে যাচ্ছি আজ (১০ ডিসেম্বর)। তার জন্য শুভকামনা রইলো। চাষী ভাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
বাংলাদেশ সময় : ১৮১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৪