নামেই মানুষের প্রথম পরিচয়। কিন্তু সেই নাম নিয়ে প্রায়ই অস্বস্তিতে পড়তে হয় বুড়ি আলিকে।
বিনোদন অঙ্গনে বুড়ি আলির পথচলাটা বেশিদিনের নয়। ২০১২ সালে গ্ল্যাক্সোডি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হওয়ার মাধ্যমে অভিষেক তার। এর নির্দেশক পিপলু আর খানের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন পারিবারিক বন্ধু মোর্শেদ বিপুল। এরপর গ্রামীণফোন থ্রিজি, কোক, বুস্ট, এলজি টিভিসহ মোট পাঁচটি বিজ্ঞাপনের মডেল হন তিনি।
এখন এনটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে আলী একরাম ফিদা তোজোর পরিচালানায় ‘ফ্যামিলি প্যাক’। এই ধারাবাহিক নাটকে তাপসী চরিত্রে অভিনয় করছেন বুড়ি। সম্প্রতি বেশকিছু একক নাটকের প্রস্তাব এলেও করা হয়ে ওঠেনি। এ প্রসঙ্গে বুড়ি আলি বাংলানিউজকে বলেন, ‘মাঝে আট বছর দেশের বাইরে ছিলাম। তবে এখন আবার কাজ শুরু করেছি। ’
ঢাকায় জন্ম নেওয়া বুড়ির পুরো নাম নাসিমা আলী। বড় বোন সায়মাসহ পরিবারের সবাই তাকে উৎসাহ দেন। বাবা প্রয়াত জুলফিকার আলী। মা নাজনীন চৌধুরী কানাডায় থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হোম ইকোনোমিক্সে পড়াশোনা করেছেন বুড়ি।
ব্যক্তিজীবনে বর মুসাউর রহমান খান (শাওন ), দুই মেয়ে জুবানা (১৫) ও সাঁঝবাতিকে (১১) নিয়েই বুড়ি আলির সুখের সংসার। তার শ্বশুর আশীর্বাদ চলচ্চিত্রের স্বত্ত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান খান। তিনি ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’-এর মতো কালজয়ী সব ছবি প্রযোজনা করেছেন।
পরিবারের কথা বলতে গিয়ে বুড়ি বললেন, ‘আমার মেয়েও মডেল হয়েছে। সম্প্রতি গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনে হুমায়ূন আহমেদের পুত্রসন্তান নুহাশের সঙ্গে মডেল হয়েছে সাঁঝবাতি। বিজ্ঞাপনটি টিভিতে দেখলেই অন্যরকম এক উচ্ছ্বাস কাজ করে আমার মধ্যে। ’
মেয়েকে শখে মডেল হতে দিয়েছেন বুড়ি। তিনি নিজেও অভিনয় করছেন শখে। অবশ্য অভিনয়টা যে খুব সহজ কাজ নয় তা বুঝে ফেলেছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘শখের বশে কাজে নেমেছি, দেখা যাক কি হয়! আর আমি বড়পর্দার নায়িকা হওয়ার কথা চিন্তা করি না। তবে বড় বোন, মা ও পার্শ্বচরিত্রে কাজ করার ইচ্ছে আছে। পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যেতে চাই। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৩১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৫