ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

আদনান ফারুক হিল্লোলের সঙ্গে কিছুক্ষণ

টিভি চ্যানেলের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব নেই

খায়রুল বাসার নির্ঝর, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৫
টিভি চ্যানেলের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব নেই আদনান ফারুক হিল্লোল / ছবি: নূর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগে আদনান ফারুক হিল্লোলের কাজ ছিলো নিয়ম করে শুটিং স্পটে যাওয়া। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো।

অভিনয় করা। এখন খানিকটা অনিয়মিতহারে সে কাজ করছেন ঠিকই, কিন্তু মাথার ওপর চেপে আছে বড় দায়িত্ব। ‘থার্ড বেল’ নামের একটি বিনোদনভিত্তিক অনলাইন ভিডিও পোর্টালের সঙ্গে তার নিবিড় যোগসূত্র। রাজধানীর নিকেতনে এর কার্যালয়। বেশ সাজানো-গোছানো। পরিপাটি। অফিস জুড়ে কড়া নিয়ম! সকালে উঠেই আসছেন অফিসে। থাকছেন রাত অবধি। তবে তিনি একা নন, ‘থার্ড বেল’-এ তার অংশীদার নওশীন আর নাজনীন হাসান চুমকিও।

বাংলানিউজ : বেশ তো নিয়ম করে অফিস করছেন ইদানীং। মিটিং, প্ল্যানিং- বড় একটা সময় কেটে যাচ্ছে এসবেই। মোটামুটি চাকরি চাকরি একটা ব্যাপার। কেমন লাগছে? আগে চাকরি করেছেন কখনও?
হিল্লোল : করেছি না! অভিনয়ে আসার আগে তো চাকরিই করতাম। তবে ওই অর্থে আমার অফিসে একঘেঁয়েমিটা নেই। তানিম, চুমকি, নওশীন- সবাই কাছের মানুষ। গল্প, আড্ডা মিলিয়ে আমাদের অফিস চলে। তবে কেমন যেন একটা কর্পোরেট অনুভূতি পাচ্ছি। জবাবদিহির জায়গা আছে, প্রতিদিন যার যার কাজের রিপোর্ট দিতে হচ্ছে। দেরি করে এলে কারণ দর্শাতে হচ্ছে- সবকিছু বেশ নিয়মতান্ত্রিক।

বাংলানিউজ : শুটিং করছেন না?
হিল্লোল : করছি তো। প্রতিদিন তো আর শুটিং থাকে না। মাঝে মধ্যে সময় পেলে করছি।

বাংলানিউজ : ‘থার্ড বেল’ পুরোপুরিভাবে আসবে কবে? এখনও তো পরীক্ষামূলকভাবেই চলছে…
হিল্লোল : যেদিন আসবে, সেদিনই বলতে পারবো। আরও আগেই পোর্টাল ওপেন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিদিনই নতুন নতুন পরিকল্পনা আসছে মাথায়, সেগুলো সাজাতেই সময় চলে যাচ্ছে। সত্যি বলতে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিডিও পোর্টাল দাঁড় করানো সহজ কাজ নয়।

বাংলানিউজ : অভিনয় করছিলেন, প্রযোজনার সঙ্গেও ছিলেন টুকটাক। হঠাৎ করে অনলাইন ভিডিও পোর্টাল দেওয়ার চিন্তা মাথায় এলো কবে?
হিল্লোল : বছর দেড়েক আগে। হঠাৎ একদিন ভাবলাম- নাটক, মিউজিক ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে আপলোড দিলে কেমন হয়! তখন অনলাইন বলতে ফেসবুকের কথাই মাথায় এসেছিলো। আরও এক সপ্তাহ ধরে আইডিয়াটা হজম করলাম। কয়েকজনকে বললাম, তারা খুব পাত্তা-টাত্তা দিলো না। ফোন করলাম আমার বোনের জামাইকে। তিনি একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে আছেন। তিনি শুনলেন এবং খুব উচ্ছ্বসিত হলেন। এরপর ওই পরিকল্পনা নিয়ে ভাবতে ভাবতে, সাজাতে সাজাতে আজকের পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। এখনই বিশ্বের প্রায় ২২৩টি শহর থেকে মানুষ ‘থার্ড বেল’ ভিজিট করছে!

[পাঠকদের বোঝার সুবিধার্থে বলে রাখা ভালো, ‘বানাবো লোকাল, মাতবে গ্লোবাল’- এটাই পোর্টালটির স্লোগান। নাটক, চলচ্চিত্র ছাড়াও মিউজিক ভিডিও, রিয়েলিটি শো, লাইফ কনসার্ট-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকছে এতে। দর্শক নিজের পছন্দমতো অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন। ]

বাংলানিউজ : অনলাইন ভিডিও পোর্টাল বলেন, আর অনলাইন টিভি বলেন; টিভি চ্যানেলের সঙ্গে এগুলোর কোনো দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক আছে?
হিল্লোল : না-না, একেবারেই নেই। টিভি চ্যানেলে প্রচারিত পুরনো অনুষ্ঠানগুলোও এ পোর্টালে দিচ্ছি আমরা। একজন প্রযোজক তো নাটক বিক্রি করে চ্যানেল থেকে টাকা পাচ্ছেই। আর আমাদের এখানে আপলোড করা হলে, দর্শকের হারের ভিত্তিতে ‘থার্ড বেল’ থেকেও টাকা পাবেন তারা। এতে করে নির্মাতাদেরই সুবিধা হবে। সুতরাং প্রযোজকরা আরও আগ্রহী হবেন টাকা লগ্নি করতে। টিভি চ্যানেলের সঙ্গে আমাদের কোনো মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব নেই।


বাংলাদেশ সময় : ১৪৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ